৭ মার্চ আমিরাত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : 2022-03-05 15:00:03১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

৭ মার্চ আমিরাত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের সফরে আগামী ৭ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করে ১২ মার্চ ফিরে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সফরসঙ্গী হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার কথা রয়েছে।

এবারের সফরে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, খাদ্য সহযোগিতা, অভিবাসী শ্রমিকসহ আরও অনেক বিষয় দ্বিপক্ষীয়ভাবে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া ৮ মার্চ নারী দিবসে ওই দেশের আয়োজিত একটি হাই-লেভেল প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, অভিবাসী শ্রমিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ নিয়ে সবসময় আমরা আলোচনা করি। এবারে খাদ্য নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করতে আমরা আগ্রহী। আরব আমিরাত তাদের খাদ্যের বেশিরভাগ আমদানি করে থাকে। আমরাও সেখানে খাদ্য রফতানি করতে চাই। বাংলাদেশের সক্ষমতা আগের থেকে অনেক বেশি এবং আমরা এখন বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী গুণগত মানের পণ্য উৎপাদনে সক্ষম।

‌‌এছাড়াও কৃষিখাতে বাংলাদেশের যে সফলতা ও বিশেষজ্ঞ জ্ঞান আছে, তা অবগত করা যেতে পারে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‌এক্ষেত্রেও পারস্পারিক সহযোগিতা সম্ভব।

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে খাদ্য রফতানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‌'তারাও এ ব্যাপারে আগ্রহী। তবে তারা যে বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে চায় সেটি হচ্ছে- টেকসই যোগান এবং যদি কখনও খাদ্য রফতানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ, তবে যেন তাদের আগে থেকে জানানো হয় এবং সময় দেওয়া হয়।'

আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে ‌'কন্ট্রাক্ট ফার্মিং' করে থাকে ইউএই। এসব ফার্মে বাংলাদেশি কৃষক ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানান।

বিনিয়োগ

বন্দর ব্যবস্থাপনা, জ্বালানিসহ আরও কয়েকটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী দেশটি। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, পতেঙ্গা টার্মিনাল এবং বে টার্মিনাল উভয় জায়গাতে কাজ করতে আগ্রহী দুবাইয়ের বড় কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ড। তবে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, বে টার্মিনালে কাজ করতে আগ্রহী ইউএই, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও ডেনমার্কের কোম্পানি। অন্যদিকে পতেঙ্গা টার্মিনালে কাজ করতে চায় ইউএই এবং সৌদি আরব।

এদিকে বাংলাদেশে বর্তমানে সপ্তাহে ৪০টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে ওই দেশের একাধিক এয়ারলাইন্স। তারা এখন আরও ফ্লাইট বাড়াতে চায় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমরা চাই তারা গন্তব্যের সংখ্যাও বৃদ্ধি করুক এবং এরফলে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের লোকেরা উপকৃত হবে।