৩৭০০ কোটি টাকা লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
প্রকাশ : 2022-10-18 13:40:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক আদালত থেকে বেরিয়ে আদেশের বিষয়টি ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত এমন আদেশ দিয়েছেন জানিয়ে আমিন উদ্দিন বলেন, আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।গত ১৭ অক্টোবর দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় '৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটে দায়ী পাঁচ ডেপুটি গভর্নর' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে (আইএলএফএসএল) আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পাঁচ ডেপুটি গভর্নরসহ ২৪৯ কর্মকর্তার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিনটি বিভাগের এই কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট করেছেন আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) এবং মেজর (অব.) মান্নান।
নজিরবিহীন এই অনিয়মের কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির আলাদা তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে খবরে বলা হয়েছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘মোট ১২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দুটি এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।'
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, 'পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিআইএফসি ও আইএলএফএসএল থেকে অবৈধভাবে জামানতবিহীন ঋণ নিয়ে মোট ৩ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আইএলএফএসএল শুধু ভারতে কারাবন্দি প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) এবং তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেই নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। আর বিআইএফসি থেকে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান ও তার প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেছে ৬০০ কোটি টাকা। বছরের পর বছর ধরে এই লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চুপ ছিলেন।'