৩৫ প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ
প্রকাশ : 2024-09-30 15:58:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগে অবস্থানের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
তবে পুলিশ অ্যাকশনে গেলেও আন্দোলনকারীরা চলে যাননি, তারা এখন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বসে পড়েছেন এবং তাদের দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার পর থেকে এ ঘটনা ঘটছে।
দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পৌঁছানোর পর তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। তখন সেখানে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে আগেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে প্রধান উপদেষ্টার বাসার সামনে যায়। তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সেখানে তাদের আমরা থাকতে দেব না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। তবে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে খুব বেশি বল প্রয়োগ করাও যাবে না। এখন অল্পকিছু লোক এখানে রয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা ‘বয়স না মেধা, মেধা মেধা; ৩০ না ৩৫, ৩৫, ৩৫; আর নয় কালক্ষেপণ, আজই প্রজ্ঞাপন’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।’
তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনও। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন দেশ গড়ার পরও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে এমনটা আশা করিনি।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি ছাড়াও শর্তসাপেক্ষে বয়সসীমা উন্মুক্ত করারও দাবি করেন তারা। চাকরিপ্রত্যাশীদের এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পড়াশোনা সম্পন্ন করা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।
সা/ই