২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ট্র্যাজেডি: রেজিয়ার সন্তানদের আকুতি হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি 

প্রকাশ : 2021-08-20 16:44:51১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ট্র্যাজেডি: রেজিয়ার সন্তানদের আকুতি হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি 

মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি কবে হবে ? আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের ? এ সরকারের আমলেই যেন মায়ের হত্যা কারীদের ফাঁসি হয়, আমরা দু’ভাই সহ পরিবারের সবাই যেন বিচার দেখে মরতে পারি। এ কথা গুলো অক্ষেপের সুরে বলেন ২১ আগষ্ঠ গ্রেনেড হামলায় নিহত কাউনিয়ার মেয়ে রেজিয়ার পুত্র হারুনার রশীদ ও নুরুন নবী মসতুল্ল্যার। 

তারা জানায় প্রথম ২/১ বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মায়ের মৃত্যু বাষিকী পালনে এগিয়ে আসলেও এখন আর কেউ তাদের খোঁজ খবর রাখেনা। স্থানীয় ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ থেকে দেয়া হয়না কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার এক জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান কাউনিয়ার বালাপাড়া ইউপির গঙ্গানারায়ণ গ্রামের রেজিয়া খাতুন। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে দীঘর্ দিনেও মেয়ে হত্যার বিচার দেখতে না পেয়ে রেজিয়ার পিতা আফাজ উদ্দিন (১০০) গত ৫ বছর আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। 

রেজিয়ার ছেলে নুর নবী ও হারুন জানায় নানা অনেক আশা করেছিল শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছেন, আমাদের মায়ের হত্যার বিচার হবে দোষী দের ফাঁসি হবে। কিন্তু নানা আমার মায়ের বিচার না দেখেই মারা গেলেন। আমরা মায়ের হত্যার বিচার দেখতে চাই। তারা জানায় গত ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা তাদের ৮ লাখ টাকা, এবং ঘটনার পরেই ১ লাখ টাকা এবং পর্যাক্রমে মোট ৩২ লাখ টাকা দিয়েছেন। সে টাকা দিয়ে জমি ক্রয়, বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করে খাচ্ছি। এর কিছু টাকা দিয়ে নুর নবী একটি গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট রেজিয়ার বড় পুত্র দিন মজুর হারুনার রশীদের আকুতি তার এক মাত্র কন্যা হালিমাা আক্তার এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করে কাউনিয়া কলেজে ডিগ্রী কোর্সে অধ্যয়ন করছে, তাকে যেন ছোট হলেও একটি সরকারী চাকুরী দেওয়া হয়। তা হলে তাকে আর সাহার্য্যর জন্য কারো কাছে হাত পাততে হবে না। রেজিয়ার পুত্র বঁধু আনোয়ারা বেগম বলেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় ৯ শতাংশ বাড়ী ভিটার জমি ক্রয় করেছি, সরকার যেন একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেন। রেজিয়ার পুত্ররা আরো জানায়, রেজিয়া ঢাকার আঁগারগাঁও এ ভারতীয় দুতাবাসে ভিসায় ছবি লাগানোর কাজ করত এবং হাজারী বাগ এলাকায় বসবাস করত। ঢাকা মহানগর হাজারীবাগ এলাকার আওয়ামী লীগের নেত্রী আয়শা মোকাররমের হাত ধরে রেজিয়া হাজারীবাগ মহিলা আওয়ামীলীগের কর্মী হয়। 

দীর্ঘ একযুগেরও বেশী সময় ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিং এ রেজিয়ার ছিল সরব উপস্থিতি। এরই সূত্র ধরে ঘটনার দিনওই মহিলা নেত্রী নিহত রেজিয়া সহ আরও ২০/২৫ জন মহিলাকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দেন। জনসভা চলাকালীন হঠাৎ ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণে অনান্যদের মত রেজিয়া খাতুনের ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয়। ২২ আগস্ট নিহত রেজিয়ার পিতা-মাতা মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় গিয়ে মেয়ের লাশ সনাক্ত করেন, পরে তাকে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। রেজিয়ার ছেলেদের দাবী তার মায়ের হত্যার বিচার নানাভাই দেখে যেতে না পারলেও, তারা ২ভাই যেন এ সরকারের আমলেই মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখে যেতে পারে।