২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রদান
প্রকাশ : 2022-12-06 18:36:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
[ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর ২০২২] আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২২ (IVD 2022) উপলক্ষে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ইউএনভি বাংলাদেশ, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ, গুড নেইবরস বাংলাদেশ, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ যৌথভাবে ২০ জন সেরা স্বেচ্ছাসেবককে “আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশ ২০২২” পুরস্কারে সম্মানিত করেছে, যারা মহামারী পরবর্তী সহায়তা ও স্বেচ্ছাসেবী কাজের মাধ্যমে সংহতি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। ''স্বেচ্ছাসেবী কর্মের মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য সংহতি জোরদার করা'' (স্ট্রেন্থেনিং সলিডারিটি ফর ডেভেলপমেন্ট থ্রু ভলান্টিয়ারিং অ্যাকশন) শীর্ষক মূল অনুষ্ঠানটি ৫ই ডিসেম্বর ২০২২-এ এলজিইডি অডিটোরিয়াম, এলজিইডি ভবন-এ ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে "স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে সংহতি" (সলিডারিটি থ্রু ভলান্টিয়ারিং)।
এছাড়া এ বছর, দ্বিতীয় বারের মত বাংলাদেশে কর্মরত ২০ জন চ্যাম্পিয়ন জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবককেও (ইউএন) তাদের বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয়।
জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম, মাননীয় মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহম্মদ ইব্রাহিম, সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ; মিস ভ্যান গুয়েন, ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টিটিভ, ইউএনডিপি; মিস দোহ ইওং আ, কান্ট্রি ডিরেক্টর, KOICA; সেখ মোহাম্মদ মহসিন, প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; মিস শিখা সরকার, অতিরিক্ত সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।মাননীয় মন্ত্রী, জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, “টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে এবং জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতির দক্ষ বাস্তবায়ন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।“
এছাড়াও বক্তব্য রেখেছেন মোহাম্মদ আকতার উদ্দিন, কান্ট্রি কোঅরডিনেটর, ইউএনভি বাংলাদেশ; মইনুদ্দিন মইনুল, কান্ট্রি ডিরেক্টর, গুড নেইবরস বাংলাদেশ; পার্থ হেফাজ শেখ, ডিরেক্টর, পলিসি এন্ড এডভোকেসি, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। ‘আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশ ২০২২’ প্রথম পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন মোহাম্মদ আল্ মামুন রাকিব। নুপুর আক্তার নোভা এবং কায়সার হামিদ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন।
এছাড়াও পুরস্কৃত হন শাহ্ ওয়াকিলর রহমান, সাঞ্জানা হক, প্রিয়াঙ্কা হালদার, মোস্তাকিম সরকার নিলয়, মোহাম্মদ জামাল হোসেন, মোহাম্মদ খালিদ হাসান, সাথী রায়, রাফাত জাহান মউমিতা, ইয়ুথ ভয়েস চট্টগ্রাম, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান সাকি, মাসরুর ইসরাক, তারিন তানি বাশার, মোহাম্মদ আল্ভি শেখ, শাইন শাইন মিয়া সনি, নুরজাহান, সানজিদা ইসলাম ইরা এবং ফারিহা ফেরদৌস খান ।
বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে একটি করে ক্রেস্ট, মেডেল, সার্টিফিকেট ও প্রাইজ মানি গ্রহণ করেন। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী প্রাইজ মানি হিসেবে পান ১ লাখ টাকা। এছাড়া, প্রাইজ মানি হিসেবে ২য় পুরস্কার বিজয়ী ৬০ হাজার টাকা, ৩য় পুরস্কার বিজয়ী ৩৫ হাজার টাকা, ৪র্থ পুরস্কার বিজয়ী ২০ হাজার টাকা, ৫ম পুরস্কার বিজয়ী ১৫ হাজার টাকা, ৬ষ্ঠ পুরস্কার বিজয়ী ১০ হাজার টাকা, ৭ম পুরস্কার বিজয়ী ৮ হাজার টাকা, ৮ম পুরস্কার বিজয়ী ৭ হাজার টাকা, ৯ম পুরস্কার বিজয়ী ৬ হাজার টাকা এবং ১০ম পুরস্কার বিজয়ী ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ভিআইও, স্বেচ্ছাসেবী, এনজিও, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।