১০ হাজার টাকা ও থ্রি-পিসের বিনিময়ে সন্তানকে বিক্রি করেন মা!
প্রকাশ : 2021-05-01 20:03:45১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ এপ্রিল ফুটফুটে একটি সন্তানের জন্ম দেন জান্নাত আরা বেগম (৩৫)। ওই সন্তান হারিয়ে গেছে জানিয়ে চকরিয়া থানায় গতকাল শুক্রবার অভিযোগ দেন তিনি। পরে পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধারের পর জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, ১০ হাজার টাকা ও একটি থ্রি-পিসের বিনিময়ে নিজের শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মা জান্নাত আরা।
জান্নাতা আরা নারী উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট কাটাখালী গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী। চকরিয়া থানায় তিনি অভিযোগ করেন তার সদ্য ভুমিষ্ট সন্তান হারিয়ে গেছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশের একাধিক টিম। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তবে এই অভিযোগের তদন্তে বেরিয়ে আসে মূল ঘটনা। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার দিন রাতেই স্থানীয় শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী মিনু আরার কাছে সন্তানকে বিক্রি করেন মা জান্নাত আরা। বিনিমেয়ে তিনি পান ১০ হাজার টাকা ও একটি থ্রি-পিস। পরে শিশুটি বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে অভিনয় শুরু করেন। কিন্তু মিনু আরা ওই শিশুকে আবার ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করলে তা জানতে পারেন জান্নাত আরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হলে পুলিশের কাছে শিশু হারানোর অভিযোগ দেন তিনি।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘শিশুটিকে চুরি করা হয়নি। ১০ হাজার টাকা ও একটি থ্রি-পিসের লোভে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছে তার মা। কিন্তু শিশুটিকে মিনু আরা ৬০ হাজার টাকা দিয়ে খুটাখালীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করলে এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে জান্নাত আরা শিশু চুরির নাটক সাজিয়ে মিনু আরার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘জান্নাত আরা শিশু সন্তানকে চুরির অভিযোগে মিনু আরা নামের এক নারীকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি এজাহার দেয়। এজাহার দায়েরের পর শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত মিনুর সহযোগীতায় শিশুটিকে পাশ্ববর্তী খুটাখালী এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পারে। পরে খুটাখালী থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’