হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য, ছবি তোলায় সাংবাদিককে হুমকি 

প্রকাশ : 2022-01-26 20:12:43১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য, ছবি তোলায় সাংবাদিককে হুমকি 

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামাজিক করোনা নির্দেশনা অমান্য করে রোগিদের গাদাগাদি চিত্র ধারণ করা সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল বাসার স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মীকে এ হুমকি প্রদান করে। এ সময় সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করায় অশালীন আচরণ করে বেরিয়ে যেতে বলে ওই চিকিৎসক।

 এ বিষয়ে বুধবার জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সাংবাদিকরা।

ভোক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশ থাকলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের গাদাগাদির চিত্র দেখা যায়। এ সময় সাংবাদিকরা সে চিত্র ক্যামেরায় বন্দি করেন। পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জুড়ে গাদাগাদিসহ এনসিডি কর্ণার ১০৬ নম্বর কক্ষের সামনেও গাদাগাদির চিত্র থাকায় সে চিত্র ক্যামেরায় ধারন করা হয়। ১০৬ নম্বর কক্ষের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শফিকুল বাসার রুমেও একই চিত্র । এ সময় সাংবাদিকরা সে চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এবং সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাঁধা দেয়। এর প্রতিবাদ করায় তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি-ধমকি প্রদান করে বেরিয়ে যেতে বলের তিনি।

ভোক্তভোগী সাংবাদিকরা জানায়, বিষয়টি তাৎক্ষণিক  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুস সালেহীনের কাছে জানালে তিনি বিষয় দেখবে বললেও পরে আর কোন ব্যবস্থা নেননি।

এ বিষয়ে  লৌহজং প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান ঝিলু জানান, এ রূপ আচরণ কাম্য নয়। আমরা একে অপরের সহযোগিতা কামনা করি। কিন্তু তারা আমাদের কোন সহযোগিতা করে না। বরং তাদের অপরাধ ঢেকে রাখার জন্য সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাঁধা প্রদান করেছেন।

এ বিষয় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের  অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ আবু ইউসুফ ফকির জানান, সাংবাদিকদের সঙ্গে এরূপ আচরণ করা মোটেও ঠিক হয়নি। আমি জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।