হামলা-মামলার অভিযোগে ভাঙ্গায় মানববন্ধন  

প্রকাশ : 2022-10-02 19:20:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

হামলা-মামলার অভিযোগে ভাঙ্গায় মানববন্ধন   

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের চরকান্দা গ্রামে চা ল্যকর সেকেন্দার আলী মোল্লা হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে এসেই বাদী , বাদী পরিবার এবং স্বাক্ষীদের উপর অব্যাহত হামলার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। মামলা তুলে নেবার হুমকি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে মামলার অন্যতম আসামী আতিয়ার রহমান বুলু মোল্লা,সম্রাট মোল্লা সহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।
 
শনিবার সকালে উপজেলার ভাঙ্গা-চরকান্দা রেল সেতু এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে  অংশগ্রহনকারীরা অবিলম্বে সেকেন্দার হত্যাকান্ডে জড়িত আতিয়ার রহমান বুলু মোল্লা, সম্রাট মোল্লাসহ জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এ সময় প্রতিবাদকারীরা বিভিন্ন প্রতিবাদসম্বলিত ব্যানার ও প্লাকার্ড বহন করে এবং বুলু মোল্লার ফাঁসি চাই সহ নানা শ্লোগান দেয়। নিহতের ভাই খোকন মোল্লা বলেন, জামিনে এসেই বুলু মোল্লা হত্যা মামলা তুলে নিতে স্বাক্ষী সরোয়ার মোল্লা,শাহীন মোল্লা,জাািকর মোল্লা,জাহিদ মোল্লা সহ বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে। তিনি আরও বলেন,আসামীদের ইন্ধন দিয়ে এলাকার নজরুল ইসলাম,নাইম ভুইয়া সহ কয়েক জন আসামীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে।এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই কবির  উদ্দিন খোকন মোল্লা,সাবেক ইউ,পি সদস্য জমির উদ্দিন মোল্লা, জালাল মোল্লা,শাহিন মোল্লা,ফারুক মিয়া,তোতা মাতুব্বর,হান্নান মাতুব্বর,হাবিবুর রহমান প্রমুখ। 

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ্য তদন্তের পর চা ল্যকর সেকেন্দার আলী হত্যাকান্ডের রহস্য  উদঘাটন করে পুলিশ। মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী বর্তমানে মামলাটির প্রধান আসামী। দীর্ঘ্য প্রায় ৮ মাস পর পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে চা ল্যকর ঘটনাটি। নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম,পরকীয়া প্রেমিক ও তার সন্তান সুকৌশলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের বিবরন তারা আদালতে স্বীকার করে। পুলিশ সূত্রে প্রকাশ  গত ২০২০ সালের  ২৬ অক্টোবর  উপজেলার  চরকান্দা গ্রামের নির্মাণাধীন রেল লাইন সংলগ্ন রাঘদার বিল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্বার করা হয়। খবর পেয়ে  হাফিজা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখে তার স্বামী সেকেন্দার আলীর বলে সনাক্ত করেন।  এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম বাদী হয়ে পারিবারিক বিরোধ ও রেললাইনের অধিগ্রহনকৃত টাকার ভাগবাটোয়ার দ্বন্দে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মামলা করেন। এতে কবির উদ্দিন খোকন মোল্যা ও খলিল মোল্লা সহ অজ্ঞাতনামা আরো আসামীদের সহযোগিতায়  যে কোন সময় তাকে হত্যা করে লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে বিলের পানিতে ফেলে রাখে বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আবুল কালাম আজাদ মামলাটি মূল রহস্য উ™ঘাটন করতে সক্ষম হন। এতে সেকান্দারের সাথে তার আপন বড় ভাই সহ পরিবারের সদস্যদের সাথে রেলওয়ের অধিগ্রহনের প্রাপ্ত টাকা ভাগ বন্টন নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনাটিকে কাজে লাগিয়ে গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে  প্রভাবশালী আতিয়ার রহমান ভুলু (৬৫) তাকে হত্যার পর নিহতের আপন বড় ভাইয়ের উপর চাপিয়ে দেয়। হাফিজা বেগমের স্বামীর সাথে খোকন মোল্যার বিরোধের সুযোগ নিয়ে ভুলু মোল্লা পূর্ব হতে হাফিজার সাথে তার পরকীয়ার স¤পর্ককে কাজে লাগিয়ে শত্রুতা উদ্বারের জন্য খোকন মোল্লা ও জমির উদ্দিন মোল্লাকে ফাাঁসিয়ে দিয়ে এলাকায় তার আধিপত্যকে শক্তিশালী করার ফন্দি আটে। ভুলু মোল্লার কুমন্ত্রনায় হাফেজা তার ফাঁদে পা দিয়ে স্বামীকে হত্যার সিদ্বান্ত নেয়।  পরে পুলিশ সেকেন্দার আলীর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ভুলু মোল্লা সম্রাট মোল্লা, হোসাইন মোল্যা, হাফিজা বেগমের আচরন সন্দেহজনক হলে তাদের গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।