হাতে হাত ধরে আর হাঁটবেন না তাঁরা!
প্রকাশ : 2021-04-30 21:15:49১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এক প্রৌঢ় দম্পত্তির ছবি। পাবনা শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই দেখা যেত তাদের। বাজারসদাই, পত্রিকা কেনা, মিষ্টির দোকানে বসে মিষ্টি খাওয়া—সবসময়ই দুজন একসঙ্গে। চলার পথজুড়ে পরস্পরের হাতে হাত রেখে চলতেন তারা। ভালোবাসার অনুকরণীয় এই যুগল হলেন—পাবনা জেলা শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার এতিমখানা পাড়ার শামসুল আলম (৮০) ও রওশন আরা (৭২)।
ভালোবাসার বন্ধনে একে অপরকে আঁকড়ে ধরে তারা কাটিয়ে দিচ্ছিলেন যুগের পর যুগ। সংসারের দৈনন্দিন কাজ, ডাক্তার দেখানো, প্রাতর্ভ্রমণ, বেড়ানো—সবখানেই চলেছেন একসঙ্গে। ঘরে-বাইরের প্রতিটি কাজে দুজন দুজনের সঙ্গে। চলার পথে একে অপরকে ধরে রেখেছেন শক্ত করে। আগলে রেখেছেন ভালোবাসার বন্ধনে।
কিন্তু তাদের আর একসঙ্গে দেখা যাবে না! গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে শামসুল আলমের জীবনাবসান ঘটেছে।
শামসুল আলমের জন্ম ১৯৪১ সালে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭৩ সালে প্রথম বিসিএসে উত্তীর্ণ তিনি। কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। আর রওশন আরা এসএসসি পাস গৃহিণী। দুজনেরই বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে। ১৯৬২ সালে তাদের পরিচয়। তখন থেকেই ভালোবাসার শুরু, ১৯৬৩ সালে বিয়ে। এরপর থেকে কেউ কাউকে ছেড়ে থাকেননি কখনো।
১৯৯৮ সালে কর্মজীবন শেষ করে পাবনার এতিমখানা পাড়ায় নিজের বাড়িটি তৈরি করেন শামসুল আলম। কিছুদিন পর মেয়ের বিয়ে দেন। কিছুটা একা হয়ে পড়েন রওশন আরা। তখন থেকে আর একটি বেলার জন্যও আলাদা হননি দুজন। ঘরে-বাইরের প্রতিটি কাজে দুজন দুজনের সঙ্গে ছিলেন। চলার পথে একে অপরকে ধরে রেখেছেন শক্ত করে। আগলে রেখেছেন ভালোবাসার বন্ধনে।