হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম
প্রকাশ : 2023-01-17 13:46:01১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে হিরো আলম তার প্রার্থিতা ফিরে পেলেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। একইসঙ্গে তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার [১৭ জানুয়ারি] বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
এর আগে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৪ [কাহালু-নন্দীগ্রাম] ও বগুড়া-৬ [সদর] আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গত ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিরো আলমের আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম এই রিট দায়ের করেন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ চার জনকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পরে নির্বাচন কমিশন থেকেও বাতিল করা হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন হিরো আলম।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
এরপর হিরো আলম মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে। সেই আপিলেও গত ১২ জানুয়ারি খারিজ করেন নির্বাচন কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আলোচিত হিরো আলম বগুড়া-৪ [কাহালু-নন্দীগ্রাম] আসনে মনোনয়নপত্র তোলেন। ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে।
মনোনয়নপত্রে ভোটারের সই জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর বগুড়ার তৎকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে ভোটের মাঝমাঠে গিয়ে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।