হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন স্বামী
প্রকাশ : 2023-08-22 16:43:48১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে নিখোঁজের ১৫ দিন পর শ্বশুর বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মিনু বেগম [২৭] নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিনু বেগমের শাশুড়ি জহুরা বেগম [৪৭] ও স্বামী উজ্জ্বল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ। অপরদিকে র্যাব-১০ সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক কে এম শাইখ আক্তার এক সংবাদ সম্মেলনে উজ্জ্বল শেখকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছর আগে মিনুর সঙ্গে উজ্জ্বল শেখের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিনু বেগমের কোনো সন্তান না হওয়ায় তার স্বামী উজ্জ্বল শেখ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মিনুর সন্তান না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। গত মাসের ৫ তারিখ রাতে মিনুর সঙ্গে তার স্বামীর মোবাইল ফোন নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে উজ্জ্বল শেখ মিনু বেগমকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে বিষয়টি গোপন করতে মিনুর শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী উজ্জ্বল শেখ তার মরদেহ টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।
মিনুর শ্বশুর-শাশুড়ি হত্যাকাণ্ডকে অন্যদিকে নিতে তারা বালিয়াকান্দি থানায় গত ৮ আগস্ট নিখোঁজ জানিয়ে অভিযোগ করেন। এবং প্রচার করেন মিনি একজনের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।
পরে গত ১৯ আগস্ট উজ্জ্বল শেখের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পচা গন্ধ বের হলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে গৃহবধূ মিনুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মিনুর মা বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মিনুর শাশুড়িকে ও র্যাব-১০ মিনুর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার জি.এম. আবল কালাম আজাদ বলেন, মিনুর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। মিনির শ্বশুর এখনো পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রেজাউল করিম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী, বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।