হঠাৎ উত্তেজনার মধ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান

প্রকাশ : 2025-05-03 19:16:40১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

হঠাৎ উত্তেজনার মধ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান

ভারতের পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার জেরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। আব্দালি উইপন সিস্টেম’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র ‘সিন্ধু মহড়া’র অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। খবর এনডিটিভির।

শনিবার (৩ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানায়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য ছিল সেনাদের পরিচালনাগত প্রস্তুতি যাচাই করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও বর্ধিত কৌশলগত ক্ষমতাসহ মূল প্রযুক্তিগত মানদণ্ড যাচাই করা। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তারা পাকিস্তানের কৌশলগত বাহিনীর পরিচালনাগত প্রস্তুতি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন, যা প্রতিরোধক্ষমতা বজায় রেখে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সক্ষম।’

তবে পাকিস্তান নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। এতে আন্তর্জাতিক সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। পেহেলগামের হামলার পর থেকেই পাকিস্তানি নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য বেড়েছে।

জানা যায়, পেহেলগামের মারাত্মক হামলার পর দিল্লির আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের মধ্যে পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এই পরীক্ষা চালানো হয়।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা সফল উৎক্ষেপনের পর সংশ্লিষ্ট সেনা সদস্য, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র বৈসারন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের মধ্যে একজন নেপালি পর্যটক ও একজন কাশ্মীরি ঘোড়সওয়ারও ছিলেন। এর প্রেক্ষিতে ২৩ এপ্রিল একতরফাভাবে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত গুরুত্বপূর্ণ পানি বণ্টন চুক্তি বা সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত ঘোষণা করে ভারত। 

জবাবে, ২৪ এপ্রিল পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তান জানায়, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি কার্যকরভাবে স্থগিত করতে পারে। পরে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

ভারত দাবি করেছে, ২২ এপ্রিলের ওই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে পাকিস্তানের। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো দৃঢ় প্রমাণ উপস্থাপন করেনি তারা। এমন অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

দুই দেশের মধ্যে এসব ঘটনার মাধ্যেম কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পাশাপাশি সামরিক প্রস্তুতিও বাড়ছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।