স্বপ্নের তিস্তা সেতুতে মরন ফাঁদ
প্রকাশ : 2025-06-13 08:36:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

রংপুর-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট তিন জেলার মানুষের স্বপ্নের তিস্তা সড়ক সেতু কাউনিয়ায় প্রান্তে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে উদ্বোধন করা হয়। সাধারন মানুষের যোগাযোগ সহজ করতে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি রক্ষনা বেক্ষনের তেমন কোন নমুনা চোখে পড়ে না। সেতু কর্তৃপক্ষ সঠিক ভাবে দেখভাল না করায় সেতুর মাঝ খানে মরন ফাঁদ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে তিস্তা সড়ক সেতুতে গিয়ে দেখা গেছে বেশ কয়েক জায়গায় ডেক্স স্লাব এর কনসট্রাকশন জয়েন্টের নাট বল্টু খুলে গিয়ে লোহার পাত খুলে গিয়ে মরন ফাঁদে পরিনত হচ্ছে। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন তিন জেলা থেকে শতশত যাত্রিবাহী বাস, মাল বোঝাই ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহ চলা চল করছে। কর্তৃপক্ষ স্বপ্নের তিস্তা সড়ক সেতুর সঠিক রক্ষনা বেক্ষন না করায় এধরনের মরন ফাঁদ তৈরী হচ্ছে। শুধু তাই নয় ধুলো বালি পরিস্কার না করায় বৃষ্টি হলেই সেতুর উপর পানি জমে থাকে। একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, সেতু নির্মাণ প্রকল্প-৩এর অধিন তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে এবং সমাপ্ত হয় ২০১২ সালের জুন মাসে। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে সেতুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৫০ মিটার এবং প্রস্থ ১২.১ মিটার। সেতুর স্প্যান সংখ্যা ১৫টি এবং পিলার সংখ্যা ১৬টি। সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় ১২২.০৯ কোটি টাকা। নদী শাসন ৭৬০ মিটার। অ্যাপ্রোচ রোড ২.২৯ কিঃমিঃ। স্বপ্নের সেই সেতুতে পরন ফাঁদ সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের নজর নেই। কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, তিস্তা সেতু নালমনিরহাট সেতু কর্তৃপক্ষ দেখভাল করে। এটি সংস্কার করা তাদের দায়িত্বে পড়ে। তিস্তা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আলাউদ্দিন জানান, সেতুটি নির্মাণের পর তিন জেলার মানুষের যোগাযোগের অভাবনিয় উন্নতি ঘটে। সেই স্বপ্নের সেতুতে মরন ফাঁদ তৈরী হওয়ায় আতংক বিরাজ করছে গাড়ির চালক সহ যাত্রী সাধারনের মাঝে। স্বপ্নের তিস্তা সেতুর মরন ফাঁদ দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞ মহল করছেন।