স্পীড বোট মালিক চান্দুর খোঁজ মিলেছে, ঘাটের অরাজকতার অবসান চায় সাধারণ মানুষ

প্রকাশ : 2021-05-04 12:12:29১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

স্পীড বোট মালিক চান্দুর খোঁজ মিলেছে, ঘাটের অরাজকতার অবসান চায় সাধারণ মানুষ

পদ্মায় নিয়ম অমান্য করে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সেই স্পিডবোটটির মালিককে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম চান্দু বেপারী। বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ এলাকায়।

এ ঘটনায় ওই স্পিডবোট মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটএ শিমুলিয়া ঘাটের বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্পিডবোটটির চালক মারা যান। তাকে তো আর আইনের আওতায় আনা যাবে না। তবে মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, স্পিডবোটের মালিককে শনাক্ত করা গেছে। তার নাম ঠিকানা পেতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য স্পিডবোট চালকদের কাছ থেকে মালিকের বিষয়ে তথ্য পেয়েছি।

তিনি আরও জানান, আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও ঘাটের তদারকির বিষয়টি প্রশাসনের মাধ্যমে করি। যেকোনো ম্যাসেজ যখন আমরা পাই, যেমন প্রতিকূল আবহাওয়া বা নদী উত্তাল থাকলে আমরা ঘাটে নৌ চলাচল বন্ধে নৌ-পুলিশে সহযোগিতা নিই। লকডাউনেও তাদের বলা হয়েছে লঞ্চ-স্পিডবোট চলাচল বন্ধের জন্য। তারপরও বিক্ষিপ্তভাবে চলাচল চলছিল। দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটটিও তেমনই একটি।

স্পিডবোট ও চালকের নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছু স্পিডবোটের নিবন্ধন দিয়েছে নৌ-পরিবহন অধিদফতর। তবে দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিবন্ধন থাকুক আর নাই থাকুক দুর্ঘটনা যেহেতু ঘটেছে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

মাওয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের স্পিডবোট ও চালকদের অধিকাংশেরই কোনো লাইসেন্স নেই। চালকদের প্রশিক্ষণ নেই। এগুলো দেখভাল করার দায়িত্ব একমাত্র বিআইডব্লিউটিএর। তারাই নির্ধারণ করবে কোন চালক বোট চালাবে, তার কোনো লাইসেন্স আছে কিনা, ভাড়া আর যাত্রী কত নেবে। নৌ-পুলিশ শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখে।

তিনি আরও বলেন, লকডাউনে কোনো স্পিডবোট আমরা শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যেতে দিইনি। দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটটি আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাশের কোনো চর এলাকা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ী যাচ্ছিল। তড়িঘড়ি করে চোরাই পথে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা। স্পিডবোটটির মালিক চান্দু মিয়ার বাড়ি কুমারভোগের পুনর্বাসন প্রকল্পে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৩ মে) সকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে ৩১ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজারগামী একটি স্পিডবোট মাধারীপুরের পুরাতন কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় এর ২৬ যাত্রীর।