স্কটল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি ইংল্যান্ডের

প্রকাশ : 2021-06-19 08:08:35১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

স্কটল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি ইংল্যান্ডের

ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হয়েছে। তবে ড্র সত্ত্বেও দুই দলেরই শেষ ষোলোর আশা টিকে রয়েছে। শুক্রবার রাতে লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরোর গ্রুপ ‘ডি’র ম্যাচে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। জন স্টোনসের হেড স্কটল্যান্ডের পোস্ট কাঁপিয়ে ফিরে আসে। এটাই গোল করার সেরা সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে গোলের জন্য ইংল্যান্ড তাকিয়েছিল অধিনায়ক হ্যারি কেনের দিকে।

গতবারের বিশ্বকাপের ‘সোনার বুট’ জয়ী এই তারকা প্রথমার্ধে মাত্র ১০ বার বল টাচ করেন। অথচ এই হ্যারি কেনই বল গড়ানোর আগে একপ্রকার হুমকি দিয়ে স্কটল্যান্ডকে শুনিয়ে রেখেছিলেন, রাশিয়া বিশ্বকাপের থেকেও তিনি আরও পরিণত। অবশেষে ব্যর্থ হ্যারি কেনকে ৭৫ মিনিটে তুলে নিতে বাধ্য হন সাউথগেট। তার পরেও ইংরেজদের আক্রমণে কামড় ছিল না।

৯০ মিনিটে না ইংল্যান্ড পারল গোল করতে, না স্কটল্যান্ড বল জড়াতে পারল ইংল্যান্ডের জালে। দুই দেশের ১১৫তম ম্যাচ ঢলে পড়ল ড্রয়ের কোলে। প্রথম পয়েন্ট পেল স্কটল্যান্ড। ম্যাচ ড্র হওয়ায় গ্রুপ ডি-তে সাউথগেটের ছেলেদের সংগ্রহে ৪ পয়েন্ট।

১৯৯৬ সালের ইউরোয় ইংল্যান্ডের সদস্য ছিলেন বর্তমান ম্যানেজার সাউথগেট। ২৫ বছর আগের সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড ২-০ গোলে হারিয়েছিল স্কটল্যান্ডকে। সেদিন সাউথগেট জিতেছিলেন। এদিন কোচ হিসেবে জিততে পারলেন না তিনি।

ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বহু পুরনো। ১৮৭২ সালে ফুটবল মাঠে প্রথম বার দেখা হয়েছিল দু’দেশের। সেই ম্যাচের ফলাফল হয়েছিল গোলশূন্য। তার পরেও সবুজ ঘাসের গালচেতে বহুবার দেখা হয়েছে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের। কখনও ইংল্যান্ড জিতেছে আবার কখনও শেষ হাসি তোলা ছিল স্কটল্যান্ডের জন্য। দুই দেশের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ডই।

সেই কারণেই এবারের ইউরোয় সাক্ষাতের আগে বিশেষজ্ঞরা এগিয়ে রেখেছিলেন হ্যারি কেন-ফিল ফোডেনদেরই। ইংল্যান্ডের দিকে ঝুঁকে থাকার আরও একটা কারণ অবশ্য ছিল। ইউরো-বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড নিয়মিত অংশগ্রহণকারী।

সেই ইংল্যান্ডের মধ্যে জেতার খিদেও দেখা যায়নি। তবে স্কটল্যান্ড জয়ের জন্য মরিয়া ছিল। প্রতিটি বলের জন্য নিজেদের জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন অ্যাডামস-রবার্টসনরা। তাই ম্যাচ ড্র হলেও এই ফলাফলকে অনেকেই মনে করছেন স্কটল্যান্ডেরই জিত।