সোহাগের লেখা গানে কন্ঠ দিলেন জনপ্রিয় শিল্পী আগুন
প্রকাশ : 2022-01-03 15:28:53১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নতুন নতুন সৃষ্টিশীল গান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তরুন গীতিকার তাজুল ইসলাম সোহাগ। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত তরুণ এই গীতিকার মোঃ তাজুল ইসলাম সোহাগের লেখা গানে ইতপূর্বে একাধিক শিল্পী কন্ঠ দিলেও এবার কণ্ঠ দিলেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী খান আসিফুর রহমান আগুন। এর মাধ্যমে এই গীতিকারের লেখা গান কন্ঠ দেওয়ার তালিকায় আরও একজন প্রতিথযশা শিল্পীর নাম যুক্ত হলো। এর আগে, সোহাগের লেখা ‘ মনেরও আড়ালে তুমি রেখ না চাওয়াৃ’’-গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী।সামিনা চৌধুরীর পর নব্বই দশকে কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্ধ প্রেম, তুমি আমার, অন্তরে অন্তরে, বিক্ষোভ, আশা ভালোবাসা, জীবন সংসার, স্বপ্নের পৃথিবী, সত্যের মৃত্যু নেই, চাওয়া থেকে পাওয়া, আনন্দ অশ্রুসহ শতাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করা দাপুটে কন্ঠ শিল্পী আগুন এবার গাইলেন সোহাগের লেখা গান ‘‘খোলা চুলে আনমনে খোলা জানালায়/ দৃষ্টি ভরে অপলোকে দেখছি তোমায়/ চোখের ভাষায় ডেকে বললে আমায়/ কিছু কথা বুঝে নিও তুমি- একটু ইশারায় !! সারাবেলা কাছে পেতে শুধু মন চায়/ অনুভবে দুলে যায় সুখেরই দোলায়/ হৃদয় গভীরে ছুঁয়ে যায় খুব নিরালায়/ হাত ধরে যেতে চায় দূর অজানায় !! ভাবনাতে আঁকো ছবি যতোটা সময়/ ঘিরে থাকা চার-পাশ যেন স্বপ্নময়/ মন বলে কত-কথা না-বলা কথায়/ আনমনে লিখে যায় স্মৃতির পাতায়। বাংলাদেশ বেতারে স¤প্রতি এ গানটি রেকর্ড করা হয়।
রোমান্টিক ধাচের এই গানটিতে সুর ও সঙ্গীত আয়োজন করেছেন আলমগীর হায়াত রুমন। গানটির জনপ্রিয়তার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে গীতিকার মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ বলেন, সব শ্রেণির শ্রোতার কথা মাথায় রেখেই গানটির কথাগুলো সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে রোমান্টিক ধাঁচের গান যারা পছন্দ করেন, তাদের কাছে গানটি বেশ ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন,জনপ্রিয় ও বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আগুন আমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এটা আমার জন্য ভীষণ আনন্দের ও ভাল লাগার। আমার বিশ্বাস গানটি শ্রোতাদের মনের গহীনে জায়গা করে নিতে পারবে। এমনকি গানটির সুরের যাদুতে মনের অজান্তে হারিয়ে যাবে আনন্দ ভুবনে অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ।
এছাড়া সম্প্রতি সোহাগের লেখা ‘‘আমি যা চেয়েছি তুমি-তা চাওনি’’--গানটির শিল্পী আফসানা রুনা এবং সজল দাসের সুরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে! গান দু'টি প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশ বেতারের সহকারি পরিচালক (অনুষ্ঠান) নুসরাত জাহান সুমী, সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন বাংলাদশ বেতারের পরিচালক আব্দুল হক। গুনী গীতিকার তাজুল ইসলাম সোহাগ ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মোঃ বেলায়েত হোসেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্বা। তাজুল ইসলাম একজন বহুমাত্রিক গুনাবলীর অধিকারী। তিনি একাধারে গীতিকার, লেখক,কবি, রেডিও জকি, সংবাদ পাঠক ,নাট্টাভিনেতা । তিনি চাকুরীর ব্যস্ততা সত্বেও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে বেশী স্াচ্ছন্দ বোধ করেন।