সোনার নৌকার পুরস্কারের নৌকা বাইছ
প্রকাশ : 2022-10-23 14:53:57১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সোনার নৌকার পুরস্কারের নৌকা বাইচে মাদারীপুরের শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের দু পাড়ের ৪ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ মেলা বসে এক বিরল দৃশ্যের অবতারনা হয়। আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ হাজার হাজার দর্শনার্থী নদীতে নৌকা বাল্কহেডসহ বিভিন্ন নৌযানে ও নদীর পাড়জুড়ে অবস্থান নিয়ে বাইচ উপভোগ করেন। বাইচ উপভোগ করেন চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ অতিথিরা। বিজয়ী হয়ে সৌনার নৌকা জিতে নেন মিলন হাওলাদারের শিবচর এ·প্রেস নামক বাচারী নৌকা ।
মাদারীপুরের শিবচরের উত্তরবহেরতলার আড়িয়াল খাঁ নদের আয়োজন করা হয় বাচারী নৌকা বাইচ। প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। এতে প্রথম পুরস্কার ঘোষনা দেয়া হয় স্বর্নের নৌকা। এছাড়াও অংশগ্রহনকারীদের দেয়া হয় টিভি ফ্রীজ। বিশাল এ নৌকা বাইচে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০টি বিশাল আকারের বাচারী নৌকা আসে। সোনার নৌকার বাইচে দেখতে নদী পাড়ের দীর্ঘ এলাকাজুড়ে হাজার হাজার মানুষ ভীড় করে। বসে দীর্ঘ গ্রামীন মেলা। অনেকে আসে নৌকা নিয়ে অনেকে বাল্কহেড ভাড়া করে অনেকে আসে স্পীডবোট নিয়ে। তরুনরা হাজির হয় সাউন্ড সিস্টেমসহ। সবমিলিয়ে অপূর্ব এক মিলন মেলায় রুপ নেয় আড়িয়াল খার পার। নৌকা বাইচ দেখতে সকাল থেকেই আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ দলবেঁধে উত্তর বহেরাতলার চর টেকেরহাট এলাকায় আড়িয়াল খার পাড়ে আসতে শুরু করে।
পাশর্^বর্তী জেল্রা শরীয়তপুর জাজিরা থেকে আসা বিল্লাল মাতুব্বর জানান, গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার কারণে এতদুরে এসেছি নৌকা বাইচ দেখতে। আামার জীবনে এই প্রথম এতো বড় বাইচ দেখলাম ও এতোবড় সোনার সৌকা পুরস্কার । আমার জীবন সার্থক। মুগ্ধ হয়েছি এমন আয়োজনে। মাদারীপুর সদর উপজেলার বাহেরচর কাতলা থেকে ্এসেছেন ষার্ট্ধো আয়নাল বেপারী তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ দেখতে এখানে এসেছি। খুব ভালো লেগেছে।
আয়োজক ও শিবচর উপজেলার উত্তর বহেরাতলা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হায়দার বলেন, আমি ভাবিনি এতা বড় আয়োজন হবে। তবে সকলের সহায়তা পেলে প্রতিবছরই আয়োজন করা হবে নৌকা বাইচ।
বাইচ প্রতিযোগীতায় মিলন হাওলাদারে শিবচর এ·প্রেস নামক নৌকা প্রথম স্থান অধিকার করে। ওসমান তালুকদারের নৌকা দ্বিতীয় ও জব্বার মাদবরের নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
খড়স্রোতা আড়িয়াল খা নদে গ্রামীন বাংলার ঐতিহ্য বাইচ আয়োজনে পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের নজরদারী ছিল চোখে পড়ার মতো।