সেমিফাইনালে পথে অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশ : 2021-11-06 20:05:42১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল অস্ট্রেলিয়ার সামনে। বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় সংগ্রহ গড়তে না দিয়ে ক্ষেত্রটা প্রস্তুত করেই রেখেছিলেন।
এরপর ব্যাট হাতে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ সারলেন বাকি কাজটাও। দারুণ এক জয়ে নেট রানরেট বুস্ট করে সেমির পথে অনেকটা এগিয়ে গেল অজিরা। তবে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা যাতে ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারে- সেই প্রার্থনাও করতে হবে অ্যারন ফিঞ্চবাহিনীকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শনিবার আবুধাবতিতে ক্যারিবীয়দের ৮ উইকেটে হারিয়েছে অজিরা। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় সেমির লড়াই থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া উইন্ডিজ। জবাবে ২ উইকেট ও ২২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ফলে টুর্নামেন্ট থেকে মাত্র ১ জয় (বাংলাদেশের বিপক্ষে) নিয়েই বিদায় নিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৩৩ রানে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের (৯) উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। কারিবীয় স্পিনার আকিল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর কার্যত উইন্ডিজের বোলারদের তুলোধুনা করলেন ওয়ার্নার ও মার্শ। দুজনেই পেলেন ফিফটির দেখা। এই ম্যাচেই ব্যাট হাতে আসরে নিজের সেরা ফর্ম দেখালেন ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তিনে নামা মার্শও যোগ্য সঙ্গ দিয়ে করেন ৫৩ রান। ৩২ বল খেলে এই ডানহাতি ব্যাটার চার মারেন ৫টি, ছক্কা ২টি। তবে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রেখে গেইলের বলে আউট হন মার্শ।
এর আগে অজিদের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ক্যারিবীয় ওপেনার গেইল ও এভিন লুইসের ঝড়ে আসে ২০ রান। হ্যাজেলউডের ওই ওভারে টানা তিন চার হাঁকান লুইস এবং পঞ্চম বলে বিশাল এক ছক্কা মারেন গেইল। পরের ওভারের প্রথম বলেও ছক্কা হাঁকান 'ইউনিভার্স বস'। কিন্তু প্যাট কামিন্সের করা ওভারের দ্বিতীয় বলেই বল তার ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ফলে ৯ বলে ১৫ রানের ইনিংসে শেষ হয় 'গেইল শো'।
গেইলের বিদায়ের পর চতুর্থ ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। হ্যাজেলউডের ওভারের প্রথম বলেই মিচেল মার্শের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পুরান (৪)। এক বল পরে চেজকে (০) বোল্ড করেন হ্যাজেলউড। ২৬ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে ফেরেন ওপেনার লুইসও। তার মতোই ধীরগতির (২৮ বলে ২৭ রান) ইনিংস খেলে হ্যাজেলউডের তৃতীয় শিকার হন শিমরন হেটমায়ার। ৯১ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো উইন্ডিজকে শতরানের বৈতরণী পার করান অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড।
পোলার্ড যখন ব্যাট হাতে ঝড় তুলছিলেন, ব্র্যাভোও তখন অধিনায়ককে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট হাতে ১২ বলে ১০ রান করে হ্যাজেলউডের বলে তুলে মারতে গিয়ে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বিশ্বকাপজয়ী ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। এরপরও ঝড় তোলা অব্যাহত রাখেন পোলার্ড। তবে শেষ ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে তুলে মারতে গেলে ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচে শেষ হয় তার ৩১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এরপর শেষদিকে ২ ছক্কায় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ৭ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে ৪ ওভারে ৩৯ রানে ৪ উইকেট নেনে অজি পেসার জশ হ্যাজেলউড। ১টি করে উইকেট গেছে প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা ও স্টার্কের ঝুলিতে। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আসরে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকানো অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
এই জয়ে ৫ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট হলো ৮। সমান পয়েন্ট ইংল্যান্ডেরও। তবে ইংল্যান্ড ম্যাচ খেলেছে ৪টি। তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। নেট রান রেটেও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। এখন শুধু অপেক্ষা ইংলিশ-প্রোটিয়া লড়াইয়ের।