সীমান্ত বন্ধ ও লকডাউনের পরিকল্পনা আপাতত নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : 2021-12-05 15:55:07১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সীমান্ত বন্ধ ও লকডাউনের পরিকল্পনা আপাতত নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে আপাতত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া এবং লডকাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

রবিবার দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টে (বিআইএইচএম) নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যা যা প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব ইতিমধ্যে সব নিয়েছি। এই মুহূর্তে বর্ডার বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে। এখনো এমন পরিস্থিতি হয়নি বর্ডার বন্ধ করতে হবে, লকডাউন দিতে হবে। বর্ডারে স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা জোরদার করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা সভা করেছি আন্তঃমন্ত্রনালয়ের। সেই সভা থেকে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা ও ওমিক্রন আক্রান্ত অন্যান্য দেশ থেকে যারা আসবে তাদের ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট করে আসতে হবে। তাদেরকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বর্ডারে পরীক্ষা জোরদার করেছি। কোয়ারেন্টাইন জোরদার করেছি। বিশেষ করে ঢাকায় যেসব হাসপাতালে আগেও চিকিৎসা হয়েছে সেখানে নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইন করা যাবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এর বাইরেও আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এয়ারপোর্টে স্ক্রিনিংব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ল্যাবের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আগে দুই হাজার স্কয়ার ফিটের ল্যাব ছিল, সেটি ৩০ হাজার স্কয়ার ফিটের বেশি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে যারা দেশে আসবেন তাদেরও দায়িত্ব আছে। তারা যেন সংক্রমিত হয়ে দেশে না আসেন। যারা বিদেশে আছেন, বিশেষ করে যারা আফ্রিকার দেশে আছেন এই মুহূর্তে দেশে না এলেই ভালো হয়। কারণ আপনারা আপনাদের পরিবার ও দেশকে নিরাপদে রাখতে চাইবেন। তাই যে যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকেন।’

প্রস্তুতির কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তত রেখেছি। আমরা ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় চিঠি দিয়েছি তারা যেন ওমিক্রন মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। আপনারা জানেন, জনবল খুবই প্রয়োজন। এজন্য আট হাজার নতুন নার্স ও চার হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

টিকা কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে সাত কোটির বেশি প্রথম ডোজ ও চার কোটির কাছাকাছি দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিয়েছি। এটাও একটা বড় প্রস্তুতি। কারণ ওমিক্রনকে যদি মোকাবেলা করতে হয়, তাহলে টিকা নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সামাজিকভাবে সচেতন হতে হব। আমাদের টিকার কোনো ঘাটতি হবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীও আমাদের অনুমতি দিয়েছেন। আমরা ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করবো।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ত্রাণ দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এবং ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মইনুল হাসান প্রমুখ।