সিলেটে টিলা ধসে চাপা পড়া স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : 2024-06-10 14:33:24১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সিলেটে টিলা ধসে চাপা পড়া স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

সিলেট নগরীর চামেলীবাগ এলাকায় টিলা ধসে মাটিচাপা পড়ে নিখোঁজ স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের দুই বছরের শিশুসন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। মাটিচাপা পড়ার প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর সোমবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত তিন জনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন– মাহমুদ উদ্দিন, বাবুল উদ্দিন, আগা বাচ্চু উদ্দিন, শফিক উদ্দিন।

ঘটনার পরপর ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয়রাসহ সিসিকের কর্মীরা নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও সন্ধান মেলেনি। পরে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় সেনাবাহিনী। মারা যাওয়া তিন জন হলেন– চামেলিবাগ এলাকার ২নং রোডের ৮৯নং বাড়ির মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে করিম উদ্দিন (৩১), তার স্ত্রী শামীমা আক্তার রোজী (২৫) এবং তাদের দুই বছর বয়সী শিশুসন্তান তানি।

উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া চামেলিবাগ এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা বলেন, ‘ঘটনার সময় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। চাপাপড়া আধাপাকা ঘরটি ছিলো টিলার নিচে। অনেক বৃষ্টিপাতের কারণে টিলার বিশাল একটি অংশ ধসে ঘরটির ওপর পড়লে করিমসহ তার স্ত্রী ও শিশুসন্তান মাটিচাপা পড়ে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাদের সন্ধান আমরা পাইনি। পরে সেনাবাহিনী তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।’

সিসিকের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘টিলা ধসে মাটিচাপা পড়ে যাওয়া একই পরিবারের তিন জনের সন্ধানে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর একটি দল। এক পর্যায়ে মাটিচাপা পড়া করিমসহ তার স্ত্রী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।’

তিনি বলেন, ‘ধসে পড়া বাড়িতে দুটি পরিবার থাকতো। টিলা ধসে চাপাপড়া ঘরের নিচে দুই পরিবারের ছয় জন আটকে পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং আমরা এসে এক পরিবারের তিন জনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।’

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, বৃষ্টির কারণে টিলা ধসে একটি আধাপাকা ঘরের উপরে পড়ে ওই ঘরের নিচে একই পরিবারের তিন জন চাপা পড়ে মারা যান। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

সা/ই