সিরাজদিখান মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশ : 2022-08-08 19:30:04১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সিরাজদিখান মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখানে দরিদ্র  ও সুবিধাবি ত নারীদের জন্য তিন মাসের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ শেষে ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও না দিয়ে উল্টো প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফি অনুপস্থিত বাবদ জন প্রতি ২০০ টাকা হতে ৪০০০ চার হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কান্তা রানী পাল ও দুই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানা যায়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দরিদ্র ও সুবিধাবি ত নারীদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে  জুন পর্যন্ত তিন মাস মেয়াদে ফ্যাশন ডিজাইন ও ভার্মি কম্পোজ ও মাসরুম কাজের ২টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মাসে ২০ দিন করে তিন মাসে মোট ৬০ দিন এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এ জন্য প্রতিটি ব্যাচে ২৫ জন ফ্যাশন ডিজাইন এবং ২৫ জন ভার্মি কম্পোজ ও মাসরুম বিষয়ে মোট ৫০ জন নারীকে নির্বাচিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এসব প্রশিক্ষণার্থী নারীদের প্রত্যেককে দৈনিক যাতায়াত ভাতা হিসেবে ২০০ টাকা করে ১২ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধের কথা থাকলেও তারা ১২ হাজার টাকা চেকে পেয়েও তাদের অনুপস্থিতির টাকা দিতে হয়েছে। 

সালমা শাহীন কনা,লাবনী,ফাতেমা, শুরমা বেগম,সামিয়া আক্তার, রিমা, রিয়া আফিয়া জাহান তিথীসহ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী নারী অভিযোগ করেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কান্তা রানী পাল  প্রশিক্ষণ শুরুর প্রাক্কালে প্রশিক্ষণার্থী ৫০জন নারীর কাছ থেকে ভর্তি ফরম বাবদ-৫০ টাকা ও ভর্তি ফি বাবদ-১০০টাকাসহ ১৫০টাকা ও প্রশিক্ষণ শেষে অনুপস্থিথি ফি আদায় করেন। সোমবার (০৮ আগষ্ট) অফিসে ডেকে নিয়ে ভাতার ১২হাজার টাকার মাস্টার রোলের কাগজে স্বাক্ষর রেখে নগদ  ২০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা রাখেন আমার দেও কাছ থেকে রাখেন। 

 উপরোক্ত প্রশিক্ষণার্থী নারীরা অভিযোগে আরও বলেন,  আমারা সাংবাদিদের জানিয়েছি বলে তারা আমাদের  কয়েক জনের টাকা ফেরত দিয়েছেন, আর এ জন্য আজ মঙ্গলবার চেক নিয়ে সোঁনালী ব্যাংকে টাকা উঠাতে  গেলে সেখানে আমাদের টাকা উত্তোলন করতে বাধা দিয়ে টাকা উঠাতে দেন নি। তাদের টাকা না দিলে তাদের চেক ও সার্টিফিকেট দিবেনা বলে জানান তারা।

 এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কান্তা রানী পালের সাথে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই প্রশিক্ষণে আমরা কোন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করি না, টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। যদি অফিসে কেউ টাকা নিয়ে থাকে সে দায়ভার আমার না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শরীফুল আলম তানভীর বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনেছি। কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো।