সিরাজদিখানে মাদক বিক্রিতে বাধা ও কলেজ ছাত্রকে বেধড়ক মারধর, থানায় অভিযোগ
প্রকাশ : 2025-10-04 11:13:02১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

মুন্সগীঞ্জ সিরাজদিখানে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় এক কলেজ ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রির প্রতিবাদ করেন ওই ছাত্র। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা কলেজ ছাত্র রুদ্র দাস(১৭) ও শোভন ঘোষকে (৩২) এলোপাথাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠায়।
অভিযুক্তরা হলেন মালখানগর ইউনিয়নের ফুরসাইল গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে অপু দাস (৪৫),লিপু দাস(৪০),মিসু দাস(৩৮) লিও দাস(৩০), হরি শীলের ছেলে হৃদয় শীল(২৮),মানিক মন্ডলের ছেলে অর্জন মন্ডল(২০)।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত হৃদয় শীল(২৮), ও অর্জন মন্ডল(২০)। ভুক্তভোগী ওই যুবকের বাড়ির পূজা মন্ডপের সামনে প্রতিনিয়ত মাদক কেনাবেচা করতেন। বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে একাধিক বার বারণ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী রুদ্রকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করে। এরই জের ধরে বুধবার রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দলবল নিয়ে ফুরসাইল দিঘীরপাড়র সাবজনীন পূজাকমিটি মন্দিরের সামনে প্রকাশ্যে তার ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এসময় তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার মাথার কানে ও পায়ের হাঁটুসহ শরীরের নানান স্থানে আঘাত করে পরে তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আহত রুদ্র দাসের বাবা কার্তিক দাস বলেন, আমার ছেলে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাব্লিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিযুক্ত হৃদয় শীল, ও অর্জন মন্ডল মাদক কারবারি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। তারা প্রায়ই আমার বাড়ির সামনে মাদকদ্রব্য বিক্রি করতো। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজ জনসম্মুখে দলবল নিয়ে আমার ছেলেকে ও আমার ছেলের সাথে থাকা শোভন ঘোষকে বেধড়ক মারধর করেছে তারা। আমি তাদের নামে শুক্রবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ করেছি, আমি এর সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।