সিরাজদিখানে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, আতঙ্কে পরিবার

প্রকাশ : 2021-12-17 18:06:18১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সিরাজদিখানে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, আতঙ্কে পরিবার

সিরাজদিখান কেয়াইন ইউনিয়নের চালতিপাড়া মর্ডান গ্রীন সিটির  সংলগ্ন সড়কে গত মঙ্গলবার রাত সারে ১০টার দিকে মোঃ শামীম মিয়া (৩৫) নামে এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।  শামীমের পিতা মোঃ ছিদ্দিক মিয়া, স্ত্রী চম্পা আক্তার লিজা ও স্থানীয় লোকজন শামীমকে উদ্ধার করে নিমতলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুর্বৃত্তরা পুনরায় হামলা চালাতে আসছে, খবর পেয়ে স্বজনেরা শামীমকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ হামলার ঘটনায় পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে আছে। 

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর রাত সারে ১০ টায় কেয়াইন নিমতলা বাসস্ট্যান্ডের মোবাইল দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার সময় কেয়াইন ইউনিয়নের চালতিপাড়া মর্ডান গ্রীন সিটির  সংলগ্ন সড়কে আসলে ওখানে আগে থেকে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো ১০/১৫জন অজ্ঞাতনাম লোকজন শামীমকে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এতে শামীম রক্তাক্ত জখম হয়। এর পর শামীমের মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য পুনরায় চাপাতি দিয়ে তারা শামীমকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়। আহতের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে  তার মোবাইল থেকে শাশীমের বাড়ির লোকজনদের খবর দিলে তারা তাঁকে প্রথমে নিমতলা আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করা হয়। 

আহত শামীম মিয়া বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে  আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে এবং আমার সাথে থাকা ২লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা এখন পুলিশ কোন ব্যবস্থা বা মামলা নিচ্ছে না। আমি পরিবারের লোকজন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। 

আহত শাশীম মিয়ার  স্ত্রী চম্পা আক্তার লীজা বলেন,  আমার স্বামী শাশীমের মাথায় ৫টি সেলাই লেগেছে। তাঁর দুটি পা ও হাত থেঁতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা আমাদের দোকান ভালো চলাতে এলাকার অত্মীয় স্বজনদের নজর লেগেছে তাই তাঁর বিরুদ্ধে  বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। আমার স্বামীকে প্রানে মেরে ফেলতে চাইছে। আজ তিন দিন হয়েছে থানায় অভিযোগ করেছি থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। 

শামীমের পিতা মোঃ হাজী মোঃ ছিদ্দিক মিয়া বলেন, আমার ছেলে শামীম মিয়া নিমতলা বাজারের একজন বিকাশ এজেন্ট ও মোবাইল ব্যবসায়ী। দুর্বৃত্তরা আমার ছেলেকে মেরে টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। পরের দিন আমরা সিরাজদিখান থানায় ছেলেক বাদী করে লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু থানায় মামলা রজ্জু করছে না পুলিশ। 

সিরাজদিখান থানার অফির্সাস ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহানউদ্দিন বলেন, এ ধরনের ঘটনার কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।