সিরাজদিখানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি 

প্রকাশ : 2025-06-09 20:44:32১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সিরাজদিখানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি 

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি মোঃ সিয়াম মাঝি এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, মামলার প্রধান আসামি মোঃ সিয়াম মাঝি ও তার দলবল দেশীয় অস্ত্রসহ বাদীর বাড়ির চারপাশে ঘুরে বাদী পক্ষকে দিচ্ছে হত্যার হুমকি। আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে পারছে না বাদী পক্ষ। থানায় মামলা দায়ের করার এক মাসের পরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামি মোঃ সিয়াম মাঝি । তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চায় না। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামে ঢালী বাড়ি এলাকায়।

মামলা তুলে নিতে বাদী ও তাঁর পরিবারের ওপর চাপ   সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে মামলার বাদী মাদ্রাসার ছাত্রীর পিতা উজ্জল খান সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ করেছেন।

মামলার  বাদী উজ্জ্বল খান বলেন, গত ০৬ মে বিকেলে তাঁর মেয়েকে ( মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির ছাত্রী) ধর্ষণ করে মোঃ সিয়াম মাঝি নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় পরদিন তিনি মোঃ সিয়াম মাঝিকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে মামলাটি তুলে নিতে বিভিন্নভাবে তাঁর ওপর চাপ   সৃষ্টি করছেন আসামিপক্ষের লোকজন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামী সিয়াম তার বাড়ি আসলে খবর পেয়ে তাকে ধরতে উজ্জল খান, মোক্তার হোসেন, রিনা বেগম ও চায়না বেগম আসামীকে ধরতে গেলে আসামির পক্ষ হয়ে রাজীব মিয়া,এবলুন সারেং কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে আসামী সিয়াম মাঝিকে ধরতে বাধা দেন,এর মধ্যে আনামী মোঃ সিয়াম মাঝি তাদের সহযোগীতায় উজ্জল খান, মোক্তার হোসেন, রিনা বেগম ও চায়না বেগমকে মারধর করে পালিয়ে যায়।

মামলার বাদী বলেন, মামলার ব্যাপারে আপস করে দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজনকে টাকা দিয়েছে আসামিপক্ষ। আসামির পক্ষ নিয়ে তারা তাঁদের টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে। বাদীর অভিযোগ, মামলার পর এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সিরাজদিখান থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে ধরা যাচ্ছে না। তিনি জানান, মামলা তুলে নিতে বাদীকে চাপ দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ করেছে শুনেছি ।