সিরাজদিখানে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে খতমে নবুওয়তের সম্মেলন

প্রকাশ : 2024-10-30 17:55:37১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সিরাজদিখানে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে খতমে নবুওয়তের সম্মেলন

কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সিরাজদিখান কুচিয়ামোড়া স্কুল এন্ড কলেজ গেইট মাঠে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষন কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির বাংলাদেশের আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুফতী মাহবুবুর রহমান।

সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আব্দুল আউয়াল, আল্লামা আবু বকর আবদুল হাই মেশকাত, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কাশেমী  ,আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী,মাওলানা মাহফুযুল হক,কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু,  মাওলানা শায়েখ হারুন এযাহার, মুফতী শাখাখাওয়াত হোসেন রাজী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরণ, এডভোকেট জাকারীয়া মোল্লা, এডভোকেট মারুফ হাসান মন্টি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত মুমিন, মুসলমানদের ঈমানের অপরিহার্য অংশ। পূর্বাপর সব মতপথ মাযহাবের ইমামগণ এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। সূরা আহযাবের ৪০ নং আয়াতে সুষ্পষ্টভাষায় আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, “মুহাম্মাদ (সা.) তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা ছিলেন না। তবে তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সর্বশেষ নবী।
আজকে বড় আফসোস আর পরিতাপের সঙ্গে বলতে হয়, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে আমাদের সমাজের অনেক মুসলমান মনে করে, ‘তারাও মনে হয় ইসলামেরই একটি দল। অথচ কাদিয়ানীদের সাথে মুসলমানদের বিরোধিতা কোনো শাখাগত বিরোধিতা নয়। এটি সরাসরি ইসলাম এবং কুফুরের বিরোধ।

সব মতপথ মাযহাবের ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত, কাদিয়ানীরা কাফের, কাদিয়ানীদের যারা কাফের মনে করবে না তারাও কাফের। সুতরাং আমাদের এক দাবি, অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

কাদিয়ানীরা এদেশে হিন্দু- খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মতো সংখ্যালঘু অমুসলিম পরিচয়ে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু মুসলিম পরিচয়ে বসবাস করে সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকাবাজি করা মেনে নেওয়া হবে না। তাদের ধর্মপরিচয় হবে, তারা কাদিয়ানী। মুসলিম নাম নিয়ে তাদের এদেশে থাকতে দেওয়া হবে না। তাদের উপাসনালয়গুলোকে মসজিদ পরিচয় দেওয়া যাবে না। তাদের মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। ইসলামের নামে রচিত তাদের সব ধর্ম গ  গ্র   গ্র্রন্থ অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তথাকথিত আহমাদিয়া সম্প্রদায় নামে তাদের সব অপতৎপরতা অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা আব্দুল হামীদ পীর সাহেব মধুপুর বলেন, ইসলামের আকীদা বিশ্বাসের অপরিহার্য আরো অনেকগুলো বিষয় কাদিয়ানিরা অস্বীকার করে। বরং তারা তাদের মনগড়া মতবাদকে ইসলাম বলে চালিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই ওআইসি এবং রাবেতা আলমে ইসলামীসহ বিশ্বের বৃহৎ মুসলিম সংস্থা ও একাধিক মুসলিম দেশে কাদিয়ানিরা রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম। গণতান্ত্রিক দেশে নাগরিক অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় সুস্পষ্ট থাকা অপরিহার্য। 

তিনি বলেন, একজন মুসলমান মুসলিম হওয়ার কারণেই খতমে নবুওয়ত আন্দোলন করতে বাধ্য। যতদিন মুসলমান থাকবে ততদিন খতমে নবুওয়ত আন্দোলন করতে হবে। কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি আদায়ে প্রতিটা পাড়া-মহল্লা, মসজিদ মাদরাসাকে একেকটি কাদিয়ানী বিরোধী কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা ঢাকায় একটি বড় মহাসম্মেলন করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাব।