সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১০
প্রকাশ : 2022-01-22 20:00:15১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের আকবর নগর গ্রামে গত মঙ্গলবার হাসান আলী ও আফজাল মেম্বার, সামেদ আলী সর্মথকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে এ সময় বাধা দিতে গিয়ে প্রায় ১০ জন আহত ও ১৫ টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। আজ সকাল ১০ টায় আবার আফজাল মেম্বার, সামেদ আলী সর্মথকদের লুটপাঠে ও ভাংচুরের উদ্যেশ্যে দেশীয় অস্ত্র , টেটা,রামদা নিয়ে মোহরা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার সরেজমিনে জানা যায়, ইউপি সদস্য হিসেবে বিজয়ী হয়ে আফজাল মেম্বার, সামেদ আলী সর্মথকরা আধিপত্য বিস্তার করে করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাসান আলী ও তার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। দুই গ্রæপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে শনিবার সকালে আফজাল মেম্বার সমর্থক সামেদ আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাসান আলী, হালিমা বেগম, জুয়েল খান, মোসাঃ আকলীমা, শরীয়ত উল্লা,শিশুর ঘড়সহ প্রায ১৫টি বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ আকবরনগর গ্রামের শরীয়ত উল্লা। এসময় বাধা দিতে গেলে প্রায় ১০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহতরা ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সংঘর্ষের ব্যাপারে হাসান আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, আফজাল মেম্বারের সমর্থক সামেদ আলীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে আমার বাড়ি আমার স্বামীর সমর্থকদের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। আফজাল মেম্বার বলেন, কেরানীগঞ্জের লোকজনদের নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। আমার কোনো লোকজন কারো বাড়িঘর ভাঙচুর বা লুটপাট করেনি। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য প্রতিপ¶ের লোকজন আমার বিরুদ্ধে মামলা করে অপপ্রচার করছে।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, আজ শনিবার সকালে তারা মানববন্ধন করতে ছেয়েছিল শুনেছি। ওই দিন সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। প্রতিদিন দিন রাত আকবরনগর গ্রামে পুলিশ পাহাড়া রয়েছে এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত। এক পক্ষ মামলা করেছেন। একজন আসামী আটক করেছি। বাকীদেরে ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।