সিরাজদিখানে অসহায় নারীর জমি অন্যকে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ : 2021-11-04 16:04:12১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান মাহমুদা বেগম (৫৫) নামে এক অসহায় নারীর জমি দখল নিতে প্রভাবশালীর লোকজন ওই জমি জোরপূর্বক অন্যকে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন ভুক্তভোগীদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ,অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি সিরাজদিখান উপজেলার পশ্চিম কাকালদী গ্রামের। এ বিষয়ে মাহমুদা বেগম বেগম বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে সিরাজদিখান থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৫ বছর পূর্বে এলাকার মোঃ বিল্লাল শেখের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকায় ১১শতাংশ জমি কেনেন মৃত মঙ্গল শেখের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম শেখ । মোঃ ইব্রাহিম শেখ মালিকানাধীন থাকাকালে ওই জমিতে বিভিন্ন ফসল ফলাতেন এখন শুধু ধান ও আলু চাষ করেন। একই গ্রামের আয়নাল শেখ বলেন, বিল্লাল শেখ মারা গেলে তার দুই ছেলে আরশাদ শেখ (৪২),আসলাম শেখ (৪৫),মেয়ে রোকেয়া বেগম ফেলি,স্ত্রী সাফিয়া বেগম ওই জমির মালিকানা দাবি করতে শুরু করেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষই জমির মালিকানা দাবি করে একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক বিচার শালিস করেন। এলাকার গ্রাম্য মাদবর ও গণ্যমান্য লোকজন মোঃ ইব্রাহিমের পক্ষে রায় দিলে মোঃ ইব্রাহিম তার বোন মাহমুদা বেগম নিজের দখল বজায় রাখেন। স্থানীয়ভাবে গ্রামে একাধিকবার সালিস বৈঠক ডাকা হলেও সেগুলোতে মৃত: বিল্লাল শেখের ৫ ছেলে মেয়ে পরিবারের লোকজন মেনে নেননা।
মোঃ ইব্রাহিম শেখের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বলেন, আজ আমার বাবা বেঁচে নেই,আমাদের সংসারে কোন পুরুষ নেই বিধায় আরসাদ শেখ ও তার পরিবারের লোকজন মিলে আমাদের ক্রয়কৃত ১১ শতাংশ জায়গা হতে আমাদেরকে জোর করে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। আমি আমাদের জায়গা রক্ষার্থে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এদিকে অভিযুক্ত আরশাদ শেখ,আসলাম শেখ,সাফিয়াবেগম ও রোকেয়া বেগম ফেলি বলেন, এ জমি নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। এসব নিয়ে আমার মরহুম বাবা পরিস্কার করে কিছু বলেননি। তবে এর আগের গ্রাম্যশালিশে দলিল লেখক,এ্যাডভোকেট ও গ্রাম্য মাদবরগনদের নিয়ে স্থানীয় ভাবে রায় মেনে না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার (ওসি তদন্ত ) মোঃ আজগর হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে গত বুধবার রাতে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।