সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ
প্রকাশ : 2021-04-12 12:17:09১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দেশে প্রথমবারের মতো রান্না ও পরিবহনের জ্বালানি এলপিজির (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের) খুচরা দাম নির্ধারণ করলো এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এলপিজির বোতলজাতকারী কোম্পানি এবং পাইকারি ও খুচরাসহ সব ধরনের বিক্রেতাদের জন্য এ মূল্য আদেশ মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
দেশে গ্যাস সংকট বাড়তে থাকায় এলপিজির চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু এর দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণে রাষ্ট্র বা সরকারের ভূমিকা নেই। অথচ আইন অনুযায়ী দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার শুধু বিইআরসির। এমন বাস্তবতায় এলপিজির দাম বিইআরসির মাধ্যমে নির্ধারণের জন্য গত বছর আদালতে রিট আবেদন করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। আদালতের রায় মেনে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানি শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মূল্যহার ঘোষণার নিয়ম রয়েছে। আগামী বুধবার এ সময়সীমার শেষ দিন। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার দুই দিন আগেই সোমবার ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির নির্ধারিত মূল্যহার ঘোষণা করলো বিইআরসি।
এলপিজি মূলত প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রিত জ্বালানি। সুষ্ঠু, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় তাপমাত্রা অনুযায়ী এলপি গ্যাসে প্রোপেন ও বিউটেনের হার নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু দেশে এ রীতি অনুসরণ করা হয় না। বিইআরসির এ সংক্রান্ত সুপারিশমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় কোম্পানিগুলো ৩০ থেকে ৫০ ভাগ প্রোপেন এবং সে অনুসারে ৭০ থেকে ৫০ ভাগ বিউটেন মিশিয়ে এলপিজি বাজারজাত করছে। অথচ বাংলাদেশে এলপি গ্যাসে প্রোপেন-বিউটেনের অনুপাত ৩০ থেকে ৪০ এবং ৭০ থেকে ৬০ হওয়া উচিত।
দেশে বর্তমানে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন এলপিজি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে সাড়ে ১৫ হাজার টন সরকারি কোম্পানি বাজারজাত করছে। বাকি প্রায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার টন আমদানি করছে বেসরকারি কোম্পানিগুলো। দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২৮টি বেসরকারি কোম্পানির মধ্যে ২০টি এলপিজি আমদানি করছে। এগুলোর বাইরে এলপি গ্যাস লিমিটেড একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলপিজি বিপণন করছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বর্তমানে গড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা। আর সাড়ে ১২ কেজির সরকারি এলপি সিলিন্ডারের দাম ৬০০ টাকা। ব্যবহৃত এলপিজির ৮৪ শতাংশ যায় রান্নার কাজে। বাকি ১৬ শতাংশ পরিবহনের অটোগ্যাস, শিল্প ও বাণিজ্য খাতে ব্যবহার করা হয়।