সারাদেশে দরিদ্র মানুষের জন্য করোনা পরীক্ষা ফ্রি

প্রকাশ : 2021-07-01 20:59:04১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সারাদেশে দরিদ্র মানুষের জন্য করোনা পরীক্ষা ফ্রি

দেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের নির্ধারিত ফি দিয়ে করোনা পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু ক্রমেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দরিদ্র-খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে টাকা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি চিন্তা করে জুলাই মাসজুড়ে সারাদেশে দরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বেশি করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের একই পরিবারের একাধিক সদস্যের ফি দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। যে কারণে শুধু জুলাই মাসের জন্য দরিদ্র মানুষের করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার খরচ দুই হাজার ৫০০ টাকা। সাধারণ জনগণের বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার খরচ তিন হাজার টাকা ও আর বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনলে করোনা পরীক্ষার খরচ তিন হাজার ৫০০ টাকা। তবে সরকারি পর্যায়ে পরীক্ষা করাতে গেলে ১০০ টাকা। গত বছরের জুনে অবশ্য সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। এই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৩ জন, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে টানা পাঁচ দিন দেশে শতাধিক মৃত্যু হলো করোনায়।

এদিকে সংক্রমণ আজও আট হাজারের উপরে। গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩০১ জন। একদিনে করোনা শনাক্তের হারও কিছুটা বেড়েছে আগের দিনের তুলনায়। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৫.৯০ শতাংশ। গতকাল ছিল ২৫.১৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় আট হাজার ৩০১ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত নয় লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন চার হাজার ৬৬৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন।