সামনে কিছুটা সংকট রয়েছে, তবে লঙ্কান দশার আশঙ্কা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : 2022-05-16 15:51:56১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব অনেকটা বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের ওপর পড়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সামনের দিকে কিছুটা সংকট রয়েছে জানিয়ে তিনি সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।
তবে লঙ্কান দশা (শ্রীলঙ্কার অবস্থা) হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান মন্ত্রী। ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে অনেকে প্রচার করছে সে অবস্থা হতে পারে। সেরকম কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা নিজেরাই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছি।’ যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
সোমবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অবস্থা ভালো থাকলে দেশের অবস্থাও ভালো থাকে মন্তব্য করে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমি বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যে আছি। তেল, চিনি, ডালের দাম নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তেলের ৯০ ভাগ আমাদের আমদানি করে আনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের প্রভাব পড়লে দেশেও দাম বেড়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি পণ্য আছে যেগুলো আমরা মনিটর করি। ঈদের আগে তেলের দাম নিয়ে অনেক কথা এসেছে। প্রতি মাসে একবার বসে ট্যারিফ কমিশন এই প্রাইজিংটা (দাম নির্ধারণ) করে। সবকিছু এভারেজ করে দামটা নির্ধারণ করা হয়।’
‘আমাদের একটা বিশেষ কারণ ছিল, ঈদের (রমজান) মাসটাতে আমরা দামটা বাড়াতে চাইনি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম, এই সময়টা ম্যানেজ করেন। তাই যেই সময়ে দামটা ফিক্স (নির্ধারণ) করা হয় সেখানে কিছুটা বিলম্ব হয়। যেহেতু তারা ভেবেছিলেন ঈদের পর দামটা বাড়বে, সেজন্য অনেকে তেল জমিয়ে রেখেছিলেন।’
‘এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম একটু চড়া। তবুও দাম মানুষের নাগালের মধ্যেই আছে’ মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম যদি কৃষক ২৫ টাকা পান তাহলেও মোটামুটি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। পরে সেটির সঙ্গে ট্রান্সপোর্টসহ কিছু কস্টিং যুক্ত হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু ভালো কাজ করতে পেরেছি। আমরা ৬০ বিলিয়ন রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি।’
২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘১৫০টির বেশি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য পাঠাতে পারছি। অন্যদিকে ইথিওপিয়া এসব পণ্যের ৯০ শতাংশ বাইরে থেকে আমদানি করে। গার্মেন্টস সেক্টরে আরও ১০ লাখ কর্মী যুক্ত হবে বলে আশা করছি।’
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংগঠনের অন্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।