সান্তাহারে ট্রেন যাত্রীদের মরণ ফাঁদ রেল ফুটওভার ব্রিজ
প্রকাশ : 2022-10-17 19:47:26১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে চলাচলকারী ট্রেন যাত্রীদের নিকট আতংক ও মরণ ফাঁদ হয়ে দেখা দিয়েছে রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজ। পশ্চিা লের অন্যতম বৃহৎত্তম রেলওয়ে জংশন সান্তাহার। এই জংশন স্টেশনের পাঁচ প্লাটফর্মে চলাচল করা যাত্রী সাধারণের পারাপারের জন্য বৃটিশ আমলে নির্মিত দুই ফুটওভার ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে গেছে, সিমেন্টের পাটাতন খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছে। খুলে যাওয়া পাটাতনের স্থানে নতুন পাটাতন সেট না করেই রেখে দেওয়া হয়েছে এলামেলো ভাবে। ফলে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। কিন্তু উপায়হীন ট্রেনযাত্রীরা। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। তারাহুরা করতে গিয়ে এবং অসাবধানতায় পাটাতনের ভাঙ্গা অংশে যাত্রীদের পা আটকে যাওয়া এবং এলোমেলো পাটাতনের সাথে উষ্টা লেগে আহত হবার ঘটনা ঘটছে নিত্যদিন। ফুটওভার ব্রিজের ছাউনি মান্ধাত্তা আমলে তৈরি করা টিনগুলো মরিচা ও জং ধরে ঝাঁজড়া হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির সময় কাক ভেজা হয়ে পারাপার হতে হয় ট্রেনযাত্রীদের।
সরেজমিনে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ব্রডগেজ ও মিটারগেজ মিলে পাঁচটি প্লাটফর্ম রয়েছে। অন্তত প্রায় দেড় শ’ বছর পর প্রাচীন এই জংশন স্টেশনের আধুনিকায়ন কাজ করা হয়েছে। আধুনিকায়ন কাজে প্লাটফর্ম উঁচু ও দৈঘ্য বৃদ্ধি, যাত্রী ছাইনির টিন পরিবর্তন এবং নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মান করে দৃষ্টিনন্দন করা হলেও ফুটওভার ব্রিজ রাখা হয়েছে সেই নড়বড়ে অবস্থায়।
এব্যাপারে রেলওয়ের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়েকে আরামদায়ক ও যাত্রীবান্ধব করার জন্য ছয় কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দের অনুকুলে সান্তাহার জংশন স্টেশনের ওই সব আধুনিকায়ন কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু স্টেশনটির যাত্রী সাধারণের সমস্যা ও ভোগান্তি এখনও অব্যহত আছে। সুত্র জানান, রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজেরও আধুনিকায়ন করার জন্য আলাদা টেন্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাক্কলন ও ব্যয়-বরাদ্দ অপ্রতুল হবার কারণে কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্টান আগ্রহী হয়নি। এ কারণে ফের টেন্ডার করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এব্যাপারে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ব্রিজ বিষয়ক প্রকৌশলী জানান, খুব দ্রুত সান্তাহার রেলওয়ে ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণের দরপত্র আহবান করা যাচ্ছে না। কারণ হিসাবে বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রাক্কলন ব্যয় চুড়ান্ত করা যায়নি। তবে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।