সাত দিন আটকে থাকার পর অবশেষে সরানো গেলো পণ্যবাহী জাহাজ এভার গিভেনকে
প্রকাশ : 2021-03-29 12:33:19১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সাত দিন আটকে থাকার পর অবশেষে সরানো গেলো পণ্যবাহী জাহাজ এভার গিভেনকে। এতে করে খুলে যাবে সুয়েজ খাল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল।
জানা যায়, আজ সোমবার (২৯ মার্চ) মিশরের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টায় উদ্ধারকারীদের তৎপরতায় আটকে থাকা ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের জাহাজটি পুনরায় ভাসানো সম্ভব হয়েছে।
জাহাজটি আটকে থাকায় খালের দুই পাশে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ জাহাজ জটের। তবে, জাহাজটি ভাসানো সম্ভব হলেও কবে নাগাদ সুয়েজ খাল খুলে দেওয়া হবে সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পুর্ণিমার কারণে সৃষ্ট জোয়ারের সময় বাড়তি স্রোতের ব্যবহার করে আটকে থাকা জাহাজটি ভাসানো সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওসামা রেবেই জানান, উদ্ধারকারী ও কর্মীরা এখনো সেখানে কাজ করছে। জাহাজটি সম্পুর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে উদ্ধার অভিযান শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মানুষের তৈরি ব্যস্ততম সুয়েজ খাল আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে। ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো সুয়েজ খাল বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট। এটিকে বিশ্ববাণিজ্যের ধমনিও বলা হয়। মালবাহী জাহাজ ‘এভার গিভেন’ আটকে যাওয়ায় গতকাল পর্যন্ত ৩০০-র বেশি জাহাজ আটকে পড়েছে। গত ২৩ মার্চ এই ঘটনা ঘটে।
পানামায় নিবন্ধনকৃত ‘এভার গিভেন’ জাহাজটি চীন থেকে নেদারল্যান্ডে পণ্য পরিবহন করছিল। তাইওয়ানের কোম্পানি এভারগ্রিন মেরিন জাহাজটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এর দৈর্ঘ্য পাঁচটি ফুটবল মাঠের সমান যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মালবাহী জাহাজের একটি। ২ লাখ টনের এই জাহাজে একসঙ্গে ২০ হাজার কনটেইনার পরিবহন করা যায়। জাহাজটি ৪০০ মিটার লম্বা এবং ৫৯ মিটার চওড়া। আটকে পড়া জাহাজের মধ্যে মালবাহী ও তেলবাহী জাহাজ রয়েছে। এসব মালবাহী জাহাজে যেসব পণ্য রয়েছে তার মধ্যে আছে কাপড়, আসবাবপত্র, উৎপাদনের উপকরণ ও গাড়ির যন্ত্রাংশ।