সাত ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’
প্রকাশ : 2021-08-10 09:52:40১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি, সংগঠন বা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত ও উৎসাহিত করতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রবর্তন করেছে সরকার। এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১ এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭ ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদান করা হবে।
সেগুলো হলো- স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনের ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন; স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন; মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা; মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, নাটক নির্মাণ, সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড; মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ। এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্রে এ পদক দেয়া হবে।
প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত একটি পদক, একটি রেপ্লিকা এবং নগদ ২ লাখ টাকা দেয়া হবে।
পদক প্রাপ্তির যোগ্যতা হবে- ব্যক্তি পর্যায়ে এ পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে, মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশী নাগরিককেও এ পদক প্রদান করা যাবে। পদক প্রদানের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব দেয়া হবে। বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারের স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে।
সরকারি দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয়, বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে।
তবে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত বা দেউলিয়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না। একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ বছরে একই বিষয়ে পুনরায় পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেয়া হবে না।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তিযুদ্ধ পদকের মনোনয়ন আহবান করবে। মনোনয়ন আহ্বান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।