সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরার আহবান
প্রকাশ : 2021-08-28 15:59:47১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। শুধু মাত্র সংবাদ সংগ্রহ করে তা পরিবেশন নয়। সাংবাদিকতা হলো একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটা প্রকাশ করা। সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারা আপনাদের কাজের ক্ষেত্রে দেশ, জাতি, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরবেন। মাদারীপুরের উন্নয়ন, ভলো-মন্দ সব কিছু আপনারা লিখনির মাধ্যমে তুলে ধরবেন যাতে আমরা সকলে জানতে পারি।
মন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে কিকি ধরনের খবর ছাপা হয়েছে দিন শেষে সেটা দেখে আমরা পদক্ষেপ নিতাম। মাদারীপুরের সাংবাদিকদের জন্য নিজস্ব একটা ভবনের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। পাঁচতলা ভিতবিশিষ্ট প্রেসক্লাবের তিনতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো। খুব শীঘ্রই সাংবাদিক বন্ধুরা নিজস্ব প্রেসক্লাব ভবনে বসে তাদের সাংবাদিকতার কাজ করতে পারবেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাদারীপুর প্রেসক্লাব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাবেক নৌ-মন্ত্রী, আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি এ কথা বলেন।
এ সময় শাজাহান খান আরো বলেন, আওয়ামীলীগের মূল লক্ষ্য একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আদর্শের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন যারা না করে তাদের দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। মস্তিষ্কে যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধারন করতে পারা যায় তা হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বস্তবায়ন করা যায়। সকলকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধারন করা দরকার। ঐ সময় কর্ণেল রশিদ বলেছিলেন শেখ মুজিব মানুষকে যে ভাবে উজ্জিবীত করতে পারেন এটাকে আমরা ভয় পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে যদি বাচিয়ে রাখতো তা হলে এই খুনিরা বেশিদিন রাজত্ব করতে পারতো না। দেশ ও জাতিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাবে ভাবতেন, ভালোবাসতেন তার সেই চেতনা, দর্শনকে বুকে ধারন করে আমি রাজনীতি করি।
শাজাহান খান আরো বলেন, মাদারীপুরের উন্নয়নের জন্য আমি অনেক স্বপ্ন দেখতাম। কীভাবে মাদারীপুরকে উন্নত করা যায়। আজ আমার সেই স্বপ্নের অনেক কিছুই পূরণ করতে পেরেছি। মাদারীপুরকে সাজিয়ে তুলতে পেরেছি। আমার স্বপ্নগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে মাদারীপুর প্রেসক্লাবের উন্নয়ন। আমি যখন নৌপরিবহন মন্ত্রী ছিলাম তখন শকুনী লেকের উন্নয়নের জন্য আমার মন্ত্রনালয়ে তিনটি সভা করেছি। যেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে শকুনী লেকের সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে।
শহরের ভিতর দিয়ে ফোরলেন করার সময় অনেক বাধা বিপত্তি দেয়া হয়েছে। তারপরেও আমরা ফোরলেনে কাজ সম্পন্ন করেছি। আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম তখন একনেকের মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাবনা দেই যে মাদারীপুর শহরে ১৯ টি সরকারি অফিসের নিজস্ব ভবন নেই। শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সরকারি অফিসগুলোকে একত্রে একটা জায়গায় আনার জন্য বাংলাদেশের মধ্যে আমি সর্ব প্রথম বহুতল বিশিষ্ট সরকারি সম্বনিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা দিয়েছি। আজ দৃষ্টিনন্দন দশতলা সেই অফিস ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনটির উদ্বোধন করেন। মাদারীপুরে জেলা পরিষদের অর্থায়নে শহরের পৌর ঈদগাহ-এর সামনে নতুন শহর এলাকায় ৯০ লাখ টাকা ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রেসক্লাবের তিনতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবুল বাশার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, এ্যাডভোকেট যতিন সরকার, সাবেক কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব খান শিশিরসহ অনেকেই।