সরকারের অযোগ্যতার কারণেই করোনা সংক্রমণে জনজীবন বিপন্ন: ফখরুল
প্রকাশ : 2021-07-21 19:26:36১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণেই ‘করোনা সংক্রমণে জনজীবন বিপন্ন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের নামাজ শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে এ মন্তব্য করেন ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা আজকে এখানে জিয়ারত করে পরম করুনাময় আল্লাহতালার কাছে এ দোয়া করেছি যে, তিনি যেন এ ভয়াবহ মহামারি যা সারাবিশ্বে সমগ্র মানবজাতিকে বিপন্ন করে ফেলেছে তা থেকে রক্ষা করেন, আল্লাহতালা যেন এ দেশের মানুষকে ক্ষমা করেন এবং এ ভয়াবহ মহামারি থেকে তাদের মুক্ত করেন।
ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এমন একটা সময়ে আমরা ঈদুল আজহা উদযাপন করছি, যখন আমাদের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যিনি সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করে এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন তিনি আজকে কারারুদ্ধ হয়ে আছেন অসুস্থাবস্থায়। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি দেশান্তরী হয়ে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন।
তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ আজকে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছে এ একটা অবস্থা বাংলাদেশে বিরাজ করছে। গণতন্ত্রহীনতার এ সময়ে আল্লাহতালার কাছে আমরা প্রার্থনা করেছি, দোয়া চেয়েছি আল্লাহতালা যেন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, আল্লাহতালা যেন এ দেশের মানুষকে সত্যিকার অর্থেই ১৯৭১ সালের যে স্বাধীনতার চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সুযোগ করে দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আবেদন জানাচ্ছি যে, আপনারা সবাই দূরত্ব বজায় রাখবেন, মাস্ক পরবেন এবং নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবেন।
আমাদের দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আমি ঈদ মোবারক জানাচ্ছি এবং দোয়া করছি সবার জন্য তারা যেন করোনা মহামারি থেকে মুক্ত হতে পারেন।
এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে আসেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা ফাতেহা পাঠ শেষে বিশেষ মোনাজাত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবসময় ঈদের দিন দলীয় কর্মসূচি শেষ করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে আসছেন।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির পর মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুব দলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ মহানগর ও যুব দলের শতাধিক নেতাকর্মী প্রয়াত রাষ্ট্রপতির কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।