সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গুটিকয়েক মন্ত্রী–সচিবই যথেষ্ট: মারুফা আক্তার
প্রকাশ : 2021-05-18 21:43:11১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফ আক্তার তাঁর ফেসবুক আইডিতে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার ঘটনায় ক্ষোভ ও রোজিনা ইসলামের মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
রোজিনা ইসলামের স্বামী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম মিঠু ও রোজিনার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক থাকার কথা তুলে ধরে মারুফা আক্তার লিখেন, ‘গতকাল থেকে সকলের মুখে মুখেই রোজিনা ইসলাম! তাঁর মুক্তির জন্য সাংবাদিকদের আন্দোলন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর মুক্তি দাবি, কোনো কিছুতেই কিছু হলো না!! তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছে মহামান্য আদালত। রোজিনা আপা এখন আদালতের বিষয়। সকলের মতো আমিও তাঁর মুক্তি চাই।’
হেনস্তা করার একটি ছবি দিয়ে তিনি আরও বলেন ‘... রোজিনা আপার ওপর হামলার এই ছবিটা দেখে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছে। অনেকেই বলেছেন তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে , এটা কি শুধুই হেনস্তা? যে আইন/ আদালত রোজিনা আপার জামিন না মঞ্জুর করলেন, আইনের সেই নিরপেক্ষ চোখের সহজ ভাষায় এটা হতে পারে অ্যাটেম টু মার্ডার। হামলাকারী এই ভদ্রলোক/ ভদ্রমহিলাদের ব্যাপারে আইন/ আদালত কি আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেবেন?”
মারুফা আক্তার লিখেন, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে মনে করি, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন প্রজাতন্ত্রের তথা জনগণের সেবক। একজন অফিসারের এমন আচরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা দরকার। নিজের মুখ ঢেকে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের গলাটিপে ধরার এই ছবিটা কি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ?... ।’ তিনি বলেন ‘ দিন শেষে আমার পরিচয়-আমি একজন সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী। সহযোদ্ধার হৃদয়ের রক্তক্ষরণে আমার হৃদয়েও রক্ত ঝরে। মিঠু ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোনো ভাষাই আজ আমার কাছে নেই। শুধু ক্ষমা চাওয়া ছাড়া। পরিশেষে বলব, সরকারকে বাঁশ দেওয়ার জন্য (সবাই কিন্তু নয়) এমন দুই একটা মন্ত্রণালয় আর গুটিকয়েক মন্ত্রী, সচিব কর্মকর্তাই যথেষ্ট! অতএব সাধু সাবধান।’