সময় মেনেই ভার্চুয়াল কোর্ট চলবে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ : 2022-01-19 09:49:52১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সময় মেনেই ভার্চুয়াল কোর্ট চলবে: প্রধান বিচারপতি

দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ থেকে আবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, সময়মতোই কোর্টের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বুধবার সকাল ঠিক ৯টায় ৬ বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বিভাগে একজন আইনজীবী বলেন, ‘মাই লর্ড আগে তো ভার্চুয়াল কোর্ট সাড়ে নয়টায় বসত। এখন থেকে কি ৯টায় বসবে?’

জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হ্যাঁ কোর্ট ঠিক সময়মতোই চলবে। আর হাইকোর্ট সাড়ে দশটায় শুরু হয়ে সোয়া একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত ব্রেক দিয়ে সোয়া চারটা পর্যন্তই চলবে।’ পরে আজকের কার্যতালিকা অনুযায়ী দিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন সর্বোচ্চ আদালত।

আগের দিন মঙ্গলবার  প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর  আদেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এবং হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’

দেড় বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কাজ চলার পর গত ১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। আর গত সেপ্টেম্বর থেকে একে একে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারক কার্যক্রমে ফেরে সবগুলো হাইকোর্ট বেঞ্চ।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে ২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

এর দুই দিন পর ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ। এরপর ওই বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের দুয়ার খুলে দেন সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মহামারীর এক দুঃসময়ে দেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে।

প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। পরে ভার্চুয়ালের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিততে আদালতের কার্যক্রম চলে। একপর্যায়ে দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আবার সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু হয়।