সম্রাটের জামিন বাতিলের আপিল শুনানি হয়নি আজও
প্রকাশ : 2022-06-13 14:25:09১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি আবারও পিছিয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্যে আগামী সোমবার (২০ জুন) পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (১৩ জুন) এ বিষয়ে শুনানির নির্ধারিত দিনে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নুরুজ্জামান ননির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ নতুন এ দিন ঠিক করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে, গত সোমবার (৬ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে যায়। তারপর আজ আবারও কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে সেটিকে নট টুডে করা (আজ নয়) হয়।
গত ৩০ মে সম্রাটের আপিল শুনানির জন্য ৬ জুন দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ। আদালতে সেদিন সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে, গত ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর গত ২৩ মে হাইকোর্টের দেওয়া সেই আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত।
গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত। এরপর জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
এ মামলায় জামিন পাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলায় জামিন পান সম্রাট। চারটি মামলার সব ক'টিতেই জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি।
রমনা থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
পরের বছর, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।