‘সবারই টিকা প্রয়োজন, তবে ধৈর্য ধরতে হবে’
প্রকাশ : 2021-08-12 15:32:28১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পর্যায়ক্রমে সবাই টিকা পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সবাই টিকা পাবেন, তবে টিকা পেতে ধৈর্য ধরতে হবে। সারাদেশে আমাদের টিকা কার্যক্রম চলছে। এটি চলমান থাকবে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৫৪ লাখ ডোজ টিকা আসবে। পরের মাসে আবার ৫০ লাখ ডোজ আসবে। সবমিলিয়ে এ মাসেই এক কোটি ডোজ টিকা আসবে। সবারই টিকা প্রয়োজন। ২৬-২৭ কোটি টিকা লাগবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট ) দুপুর ২ টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন এবং সিডিসি আয়োজিত করোনা এবং ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
চলতি মাসের মধ্যে আরও এক কোটি টিকা আসবে বলে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, চিকিৎসক-নার্সরা গত দেড় বছর যাবৎ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের চিকিৎসাও তাদের করতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন টেস্টের ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে। এরমধ্যে আবার ডেঙ্গু এসেছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসাও আমাদের দিতে হচ্ছে। প্রতিটা জিনিসের একটা সীমা রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই ইনফেকশন কমাতে হবে। জাহিদ মালেক আরও বলেন, পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি লোক নিবন্ধন করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ মাসে আরও এক কোটিরও বেশি টিকা আসবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। তবে, ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের পাইপলাইনে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আছে, সেটা পাওয়া গেলেই ভ্যাকসিনের কোনো সমস্যা হবে না। টিকা নেওয়ার লাইনে বেশিরভাগ তরুণ এবং কম বয়সীদের দেখা যায়। কিন্তু যারা অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের তাদের আগে ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। কারণ তাদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবন ও জীবিকা দুটোই পাশাপাশি চলবে। জীবন যেমন গুরুত্বপূর্ণ। জীবিকাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও আমি মনে করি জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই জীবনকে রক্ষা করে জীবিকা অর্জন করতে হবে। করোনার সংক্রমণ অনেক বেড়েছিল, সেটা বর্তমানে কিছুটা কমেছে। আমরা সংক্রমণ কমানোর এ হার ধরে রাখতে চাই। একইসঙ্গে আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। এজন্য শুধু সরকার নয় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি ডা. বিল্লাল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিসক অধ্যাপক ডা. এবি এম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব আলী নুর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আরসেনাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।