সবাইকে সতর্ক করে রশিদ খানকে যে বার্তা দিলো তালেবান
প্রকাশ : 2021-08-18 12:24:06১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বর্তমানে আফগানিস্তানে পরিস্থিতি নিয়ে সবাই শঙ্কিত। সবার মাঝে বিরাজ করছে একটা ভয়। যদিও তালোবানরা সবাইকে আশ্বাস দিয়েছে। আফগানিস্তানে টালমাটাল পরিস্থিতিতে নিজের পরিবার নিয়ে চিন্তিত ইংল্যান্ডে অবস্থানরত রশিদ খান। দেশটি থেকে নিজের পরিবারকে বেরও করে আনতে পারছেন না তিনি।
যে কারণে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে খেলতে থাকলেও শঙ্কায়-উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে এই লেগ স্পিনারের। সোমবার (১৬ আগস্ট) স্কাই স্পোর্টসকে এ তথ্য জানিয়েছেন ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন।
স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে পিটারসেন বলেন, ম্যাচ চলাকালীন ও ম্যাচ শেষে রশিদ খানের সঙ্গে আমার অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। সে তার দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খুবই ঘোরের মধ্য আছে।
না পারছে সে দেশে যেতে, না পারছে নিজের পরিবারকে সেখান থেকে বের করে আনতে। এই কারণেই সে ম্যানচেস্টার অরিজিনালের বিপক্ষে জয়ের পর তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এর দিন দুয়েক আগে এক টুইটে রশিদ খান দাবি করেন, তার দেশ এখন বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। বিশ্ব নেতাদের কাছে তিনি আকুতি জানান, যেন আফগানিস্তানের লোকদের আর মারা না হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান।
তবে রশিদ খানের এমন ভিত্তিহীন বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে তালেবান বলেন, তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন জানালেন, আফগান ক্রিকেটের ধ্বংস নয় বরং উন্নতি করতে চান তারা।
শাহীনের দাবি, আফগানিস্তানকে ক্রিকেটে এনেছেন তারাই। উর্দু নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের খেলা নিজস্ব গতিতেই চলবে।
অতীতের মতো এখনও আমরা ক্রিকেটের উন্নতি সাধনে কাজ করব। আমরা ক্ষমতায় থাকার সময়ই আফগানিস্তানকে ক্রিকেটের সাথে পরিচয় করিয়েছি। ক্রিকেটাররা আমাদেরই থাকবে। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে।’
এইসময় তিনি আরো জানান, আমাদের তারকা খেলোয়াড় রশিদ খানকে দিয়ে যারা ভিত্তিহিন অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আরো বলেন।
আমরা কখনোই অশান্তি চাইনি আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে ছিলাম এবং তা দীর্ঘস্থায়ী করতে যা প্রয়োজন সব করবো। শাহীন নিজেও একজন ক্রিকেটানুরাগী। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের একটি ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন,
‘তালেবান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মোল্লা আব্দুস সালাম জায়ীফকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের লড়তে দেখে বেশ আনন্দিত ছিলাম। সে ম্যাচে পাকিস্তান অল্প ব্যবধানে জিতেছিল।’