শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশাল জয়ে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা

প্রকাশ : 2021-05-25 22:04:11১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশাল জয়ে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা

অবশেষে ফুরোলো অপেক্ষার পালা, মিলল প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ। এতদিন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাতটি ওয়ানডে জিতলেও, সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপ সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজেই লঙ্কানদের হারিয়ে দিলো টাইগাররা।

প্রথম ম্যাচে ২৫৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমানদের বোলিংয়ে এসেছিল ৩৩ রানের জয়। আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহীমের সেঞ্চুরিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে দাঁড়ায় ২৪৬ রানের সংগ্রহ। যেখানে মুশফিকের একার সংগ্রহই ১২৫ রান।

আগেরদিনের চেয়ে ১১ রান কম করলেও, আজকের জয় আরও বড় ব্যবধানে। শেষ মুহূর্তে বৃষ্টি বাগড়া দিলেও ডিএল মেথডে টাইগারদের জয় এলো ১০৩ রানে। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ফের উজ্জ্বল মিরাজ-মোস্তাফিজরা। তাদের বোলিং তোপে পরিবর্তিত লক্ষ্য নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রানে থেমে গেছে লঙ্কানরা। বাংলাদেশ পেয়েছে ১০৩ রানের বিশাল জয়।

এ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচ সিরিজের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেলো বাংলাদেশের। শুক্রবার শেষ ম্যাচটিতে থাকবে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নবম সিরিজ খেলতে প্রথমবার জিতল বাংলাদেশ। আগের ৮ সিরিজে ছয়টি জিতেছিল লঙ্কানরা, ড্র হয় বাকি দুইটি।

শুধু লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ জেতাই নয়, দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষে উঠে গেলো বাংলাদেশ। যেখানে ৮ ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০ পয়েন্ট। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার রয়েছে ৪০টি করে পয়েন্ট। শেষ ম্যাচ জিতলে তাদের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের করা ২৪৬ রানের জবাবে শুরু থেকে একবারের জন্যও ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। বোলিং ইনিংসের শুরু থেকেই সফরকারীদের চেপে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই দুই অঙ্কে পৌঁছলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা। এছাড়া পাথুম নিসাঙ্কা ২০, আশেন বান্দারা ১৫, কুশল পেরেরা ১৪, ধনঞ্জয় ডি সিলভা ১০ ও দাসুন শানাকা করেন ১১ রান। তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটিটি হয় দ্বিতীয় উইকেটে। যেখানে ২৯ রান যোগ করেন নিসাঙ্কা ও গুনাথিলাকা।