শ্রীনগরে সেতু নির্মাণে কচ্ছপ গতিঃ দুর্ভোগে এলাকাবাসী
প্রকাশ : 2021-07-27 13:20:23১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী-বাড়ৈগাঁও এলজিইডি সড়কের কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী ও টুনিয়ামান্দ্রা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানের সেতুটির নির্মাণকাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। ফলে ২৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন সেতুটির কাজ কবে সমাপ্ত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া নির্মাণ কাজ শুরু হলেও চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরি না করয়া গত ৪/৫ মাস যাবত হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত কয়েকদিনে পানি বৃদ্ধির কারণে সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে সেতু নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার ও বিকল্প রাস্তা না করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের বিষয়ে গত ১৫ জুলাই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী সেতু নির্মাণ কাজ স্থগিত করে দেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন সেতুটি ঢালাইয়ের অপেক্ষায় আছে। ঢালাইয়ের জন্য সড়কের পাশেই রাখা হয়েছে নিম্নমানের মাটিযুক্ত পাথর ও বালু। সেতুর উত্তর পাশ দিয়ে মানুষ চলাচলের জন্য যথাযথভাবে কোন বিকল্প রাস্তা করা হয়নি। এতোদিন অটোরিক্স, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও এখন নির্মাণাধীন সেতুর দক্ষিণ ও উত্তর পাশ পানিতে ডুবে গেছে। এতে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
স্থানীয়রা হাঁটু পানি ভেঙে যাতায়াত করছেন। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৫ মাস যাবত সেতুটির নির্মাণ কাজ চলছে। ঈদের আগের ২ দিন আগে স্থানীয় যুবকরা মাটি ও বালু ফেলে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তাটি উপযোগী করার চেষ্টা করে। গত ৩ দিন ধরে চলাচলের স্থানটি ডুবে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই অ লের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন বাধ্য হয়েই অন্যান্য রাস্তায় যাতায়াত করছেন। এতে তাদের সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে জানান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেতুটির নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী অন্যত্র বদলী হয়ে গেছেন। এখন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অপর একজন সহকারী প্রকৌশলীকে। সেতুটির নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হতে বাকি মাত্র ১ মাস। এই সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া অসম্ভব ব্যাপার।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ মমিন আলী জানান, বিষয়টি তিনি অবগত। তাকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী পালটানোর জন্য। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বিকল্প রাস্তার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে জানতে মেসার্স খান ট্রেডার্সের কর্ণধার আব্দুল জহির খান অটলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।