শ্রীনগরে সামাজিকতার ধোয়া তুলে যুবককে মেরে রক্তাক্ত জখম
প্রকাশ : 2021-07-27 08:39:03১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
শ্রীনগরে বিবাহিত স্ত্রীকে বাড়িতে আনার অপরাধে বিদেশ ফেরত এক যুবককে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সামাজিকতার ধোয়া তুলে উপজেলার সুরদিয়া গ্রামে মধ্যযুগীয় কায়দার এই ঘটনা ঘটে। কুকুটিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতির সামনে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, সুরদিয়া গ্রামের নান্নু সরদারের ছেলে মোঃ সোহাগ ২০০৭ সালে লৌহজং উপজেলার মৌছা মান্দ্রা গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়ে করে। বিয়ের ৬ বছর পর সোহাগ তার স্ত্রীকে নিজেদের বাড়িতে রেখে দক্ষির কোরিয়া চলে যায়। পরে পুত্রবধু ও শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে বনিবনা না হওয়ায় সোহাগের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। ২০২১ সালের শুরুর দিকে সোহাগ দেশে এসে তার স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে চাইলে তার বাবা-মা ও আত্নীয়-স্বজন বাধা দেয়। পরে বৌকে বাড়িতে না তোলার শর্তে তার বাবা সংসার করার অনুুমুতি দেন। পরে ২ মাস আগে সোহাগ তার ফুফাতো বোন, বোন জামাই সহ বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে স্ত্রীকে শশুর বাড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সমাজের জাত গেছে অজুহাত তুলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল হক রেজার নেতৃত্বে সালিশ বসে। সালিশে সোহাগের বন্ধুদের দোষী সাব্যস্ত করে ভৎসনা করা হয়।
গত রবিবার সোহাগ ২ ঘন্টার জন্য তার স্ত্রীকে নিজেদের বাড়িতে আনে। পরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। এঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন সমাজপতি ফুঁসে উঠে।
সোহাগ সোমবার দুপুরে বাড়িতে আসলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজার সামনে ইউনিয়ন সেচ্চাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুলের নেতৃত্বে মিজান, রিয়াজ সহ বেশ কয়েকজন তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে সোহাগের চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে ভর্তি করে।
এব্যাপারে কুকুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা জানান, মারামারি নয় ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আর আগে সালিশ করা হয়েছিল ভিন্ন বিষয়ে।
শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) আবু জাহেদ আব্দুর নুর বলেন, সোহাগের স্ত্রী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।