শ্রীনগরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গা দখল করে দোকন নির্মাণ

প্রকাশ : 2022-01-01 19:27:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শ্রীনগরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গা দখল করে দোকন নির্মাণ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কেয়টখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের জায়গা দখল করে দোকন ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক সংলগ্ন ষোলঘর ইউনিয়নের কেওটখালী এলাকায় স্থানীয় শাহজালাল নামে এক লোক এই দখল চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ের মোট সম্পত্তির পরিমান ১একর ৯২শতাংশ। যার পুরাতন ভবন আর এস ১৭০২ ও ১৭০৩ খতিয়ানের উপর অবস্থিত। বর্তমান বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও শ্রেনি কক্ষ আরএস ১৭১১ দাগের ১একর ৩৫ শতাংশ জায়গার উপর অবস্থিত। করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে শুরুতে রাস্তা নির্মান করা হয়।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বিদ্যালয়ের টয়লেট ও সুয়ারেজ ট্যাংক ঘেষে বালু দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তার পাশ ঘেষে একটি পাটাতন করা টিনসেড দোকান নির্মান করা হচ্ছে। দোকানের ভিতরে কাঠ মিস্ত্রিরা দোকানের জন্য পাটাতনের কাজ করছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা মাসুমা কজল বলেন, করোনা কলে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের জায়গাতে কে বা কারা রাস্তা নির্মান করেছে আমি জানি না। তবে বর্তমানে সেই রাস্তা ঘেষে আবার দোকন তৈরি করা হচ্ছে। বিদ্যালয় গত ২৩ তারিখ থেকে বন্ধ থাকার সুযোগে আমাদের বিদ্যালয়ের জায়গায় দোকান ঘর নির্মান করা হয়েছে। তারা আমাদের থেকে কোন অনুমতিও নেয়নি।
 
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি এম.এ খালেক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে দোকন নির্মান করছে আমরা নিষেধ করার পরেও  তারা শুনছে না। আমি এই বিষয়টি ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যন ও মেম্বার কে জাানিয়েছি। আমরা বিদ্যালয়ের জায়গা মেপে সিমানা পিলার দিলেও সেখান থেকে সিমানা পিলার রাতের আধারে কে বা কারা গায়েব করে ফেলে। এখানে রাস্তা বেধেছে রাজনৈতিক নেতা জাকির হোসেন।

দোকানের মালিক শাহজালালে কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জায়গার মালিক জাকির সাহেব। আপনি তার সাথে কথা বলেন। এবিষয়ে জানতে জাকির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মিতিন বলেন, আমি ২মাস ধরে এই উপজেলাতে যোগদান করেছি। বিদ্যালয়েরে প্রধান শিক্ষকের সাথে এবিষয়ে কথা বলে জানতে পেরেছি ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ে পক্ষ থেকে পরিমাপ করা হয়েছিল এবং সেখানে সিমানা পিলার ও দেওয়া হয়েছিল। পরে কে বা কারা যেন সেখান থেকে সিমানা পিলার তুলে ফেলেছে। এখন যেখানে দোকানটা তৈরি করা হচ্ছে সেটার কিছু অংশ ও রাস্তাটি বিদ্যালয়ের জায়গার উপর হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি আগমীকাল বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যাবস্থ নিব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, এবিষয়ে সকালে আমাকে চেয়াম্যান সাহেব জানিয়েছে। এখনো বিদ্যালয় কতৃপক্ষের কেউ কোন অভিযোগ করেনি। বিদ্যালয় থেকে যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমরা ব্যাবস্থা নিব।