শ্রীনগরে রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি

প্রকাশ : 2021-07-31 09:08:16১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শ্রীনগরে রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি

শ্রীনগরে জালিয়াতির অভিযোগে ২০ দিনের মাথায় রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি বাতিল করে নতুন এডহক কমিটি অনুমোদন করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। গত ২৮ জুলাই  বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক আবুল মনছুর ভূইয়া স্বাক্ষরিত পিএস/চেয়ার/ঢাবো/৪১৪০(৭) স্মারকের চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়া গেছে। একই দিন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অপরাধে কেন শাস্তি মূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে তাকে ৭দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বোর্ড। 

গত ৯ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি অনুমোদন করে বোর্ড। এই কমিটিতে সভাপতি পদে তন্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক মোঃ আওলাদ হোসেনকে  অনুমোদন দেওয়া হয়। বিষয়টি জালিয়াতি হয়েছে মর্মে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আলী ওই দিনই বোর্ডে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে ১ নম্বরে এডভোকেট মোহাম্মদ আলী-শিক্ষাগত যোগ্যতা এম এ, ২ নম্বরে মোঃ আওলাদ হোসেন-শিক্ষাগত যোগ্যতা প ম শ্রেণী, ও ৩ নম্বরে মোঃ আসাদুজ্জামান-শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক সহ তিন জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান শেখ ২ নং ক্রমিকের মোঃ আওলাদ হোসেনের নাম ১ নং ক্রমিকে লিখে ও তাকে স্নাতক পাশ উল্লেখ করে বোর্ডে জমা দিয়ে এডহক কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেয়। 

বোর্ড জালিয়াতির সত্যতা পেয়ে ২৮ জুলাই এডভোকেট মোহাম্মদ আলীকে সভাপতি করে কমিটি অনুমোদন করে। এই কমিটি গত ৯ জুলাই থেকে আগামী ৬ মাসের জন্য এডহক কমিটির দায়িত্ব পালন করবে বলে বোর্ডের চিঠি সূত্রে জানা গেছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, অভিবাবক সদস্য আব্দুল মঈম কমল।

রুশদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান শেখ এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। 

এব্যাপারে এডহক কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আলী বলেন, রুশদী উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী উচ্চ বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষক এমন জালিয়াতি করতে পারেন তা ধারণায় ছিল না। আমি বিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্র, অভিবাবক বৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে এর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই। 

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, বোর্ড জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে। একারণে বোর্ড বিদ্যালয়টির  এডহক কমিটি নতুন ভাবে অনুমোদন করেছে।