শ্রীনগরের রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জোড় পূর্বক টাকা আদায়ের ফন্দি ফিকির
প্রকাশ : 2021-03-16 19:51:51১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নজরুল ইসলাম, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারির বিরুদ্ধে জোড় পূর্বক টাকা আদায়ের ফন্দি ফিকিরের অভিযোগ পাওয়াগেছে। ভূক্তভোগী উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুর গ্রমের মৃত কুড়ি ফকিরের ছেলে চাঁন মিয়া ফকির জানায়, প্রায় ২ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তার ছেলে সজীব ফকির(২৮) এর সাথে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের টেটামারা বালাশুর নতুন গ্রামের মোসাম্মৎ বিউটি বেগমের বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েক মাস পরে ছেলে বিদেশে চলে যায়। ছেলের সাথে প্রায়ই মোবাইল ফোনে পূত্রবধু বিউটির ঝগড়া হত।
তিনি বলেন, হঠাৎ গত ২০ জানুয়ারি সকালে আমার পূত্রবধু তার ব্যবহিৃত কাপর ও স্বর্নালংকার নিয়া তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বেশ কয়েকদিন পর আমি পূত্রবধুকে আনতে গেলে। তার বাবা ইলিয়াছ আমাকে জানায়, তার মেয়ে আর আমার ছেলে প্রবাসী সজীবের সংসার করবেনা। আমি তাদের বাড়ির আশপাশে খোজ নিয়ে জানতে পারি। পূত্রবধু বিউটির সাথে অন্য এক ছেলের বিয়ের কথা বার্তা চলছে। আমি আমার নিজ বাড়িতে ফিরে আসি। এদিকে গত ১০ মার্চ রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে আমাকে হাজির থাকার জন্য একটি নোটিশ করলে আমি পরিষদে হাজির হই।
পরিষদে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান আমাকে বলেন, ইলিয়াসের মেয়ে বিউটি তোর ছেলের সংসার করবেনা। তুই ৩ লক্ষ টাকা দে। আমি চেয়ারম্যানকে বলি আমার ছেলে বিদেশে আছে। ছেলে সজীব ফিরে এলে আপনি যা ভাল মনে করেন করবেন। এ কথা বলার সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যান আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জোর পূর্বক একটি সাদা কাগজে আমার টিপ সই রাখেন এবং আমার জায়গা জমি দখল করে আমাকে এ গ্রাম থেকে চরে পাঠাইয়া দিবে বলে জানায়। এছারা আগামী ৩ অক্টোবর সময় সিমার মধ্যে টাকা না দিলে টিপসই দেয়া কাগজ ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করবে বলে হমিকী প্রদান করে।
এ ব্যপারে চান মিয়া ফকির বাদি হয়ে তার বিয়াইর বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় একটি সধারন ডায়েরি করেছেন। যাহার নং- ২৫০ । সাদা কাগজে টিপ সই ও টাকা চাওয়া বিষয়ে রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারো কাছে টাকা চাইনি এবং কারো কাছ থেকে সাদা কাগজে টিপ সই রাখিনি। বরং চানমিয়া ফকির আমার কাছে বিচার চেয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে তাদের উভয় পক্ষকে মিল মিশ হয়ে যাওয়ার কথা বলেছি।