শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরির যাত্রী কমে বেড়েছে লঞ্চে
প্রকাশ : 2021-08-12 16:28:49১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দেশব্যপি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কঠোর বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার আজ দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণবঙ্গের ২৩জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরির পাশাপাশি চালু হয়েছে লঞ্চ চলাচল । তবে লঞ্চে ভিড় থাকলেও ফেরিতে যাত্রীর উপস্থিতি একেবারেই নেই।
বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শিমুলিয়াঘাট এলাকায় বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেখা যায় নৌ পথে,ফেরি যাত্রী নেইবল্লেই চলে তবে লঞ্চে যাত্রীর ভির বেড়েছে তিনগুন। এদিকে নৌরুটের বহরে থাকা ১৭ ফেরির মধ্যে এক সপ্তাহ যাবত ৯-১০ টি ফেরি চললেও আজ চলাচল করছে সকাল থেকে মাত্র ৬টি।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ৮৭ লঞ্চ ও ৬ টি মিডিয়াম ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ডাম্প, ছোট ও রোরো ফেরি চলাচল করছে না। চালু থাকা ফেরিগুলোর মধ্যেও ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
এদিকে গণপরিবহন সচল হওয়া শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে সহজেই ঢাকাসহ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা। শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, সকাল থেকে নৌরুটে ৮৭ লঞ্চ সচল রয়েছে। উভয়মুখি যাত্রীই পারাপার হচ্ছে তবে সকাল থেকে ঢাকামুখি যাত্রীর সংখ্যা প্রচুর। বিধিনিধিষেধ উঠে যাওয়ায় ঢাকামুখি কর্মজীবী মানুষই বেশি পারাপার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক বাণিজ্য মাহবুবর রহমান জানান, নৌরুটে ৬টি মিডিয়াম ফেরি সচল রয়েছে। লঞ্চ চালু হওয়া ফেরিতে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। শিমুলিয়া ঘাটে সাড়ে ৪ শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষামান । তবে প্রতিটি ফেরিই কমসংখ্যক যানবাহন নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। তিনি আরও জানান, ভারি যানবাহন পার হবে কি না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কোনো কাগজপত্র আমরা এখনও পাইনি।