শিমুলিয়াঘাটে ঘর মুখি মানুষের ঢল, ফেরি দখলে যাত্রী আর মোটরসাইকেল
প্রকাশ : 2021-07-19 15:49:27১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঈদকে কেন্দ্র করে সোমবার দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ ভিড় করছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে। সোমবার সকাল হতে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পারি দিচ্ছে।
ফেরিঘাটের যানবাহন দীর্ঘ সারি আর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। ভোর সকাল থেকেই মটরসাইকেল এবং সাধারণ যাত্রী দখলে নেয় ফেরিগুলো। ফেরিগুলো পাড়ি দিতে হচ্ছে যাত্রী নিয়ে। বিশেষ করে লঞ্চঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীদের গাদাগাদি। লঞ্চে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও আজও অধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে লঞ্চঘাটে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দূরত্ব।
শিমুলিয়া লঞ্চ ঘাটে বাড়ি যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান এমন যাএীর সাথে কথা হয়, যাএী মো. জাহিদ হোসেন জানান, সে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তিনি পরিবার বর্গ নিয়ে আগেই বাড়ি যাবেন ফরিদপুরের গোসাইর হাট এলাকায় লঞ্চে গাদাগাদি দেখে একটি লঞ্চ ফেল করেছেন। পরবর্তী লঞ্চেও একই অবস্থা তাই লঞ্চ ঘাটে তিনি অপেক্ষা করছেন ভীড় কমার অপেক্ষায় । এমন অনেক পরিবার ঘাটে গাদাগাদি দেখে লঞ্চ টার্মিনাল ও যাএী ছাউনিতে অপেক্ষা করছে।
এদিকে পদ্মার তীব্রস্রোত ও গনপরিবহন ও ব্যাক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে ৬ শতাধিক ব্যাক্তিগত গাড়ি ও পন্যবাহী ট্রাক। এছাড়া ঘাটের অভিমুুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পারাপারের অপেক্ষায় শতশত পন্যবাহী ট্রাক।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ সচল রয়েছে।
এবিষয়ে বিআইডাব্লিউটিস শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পন্যবাহী মিলিয়ে ৬ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে। তবে সকাল থেকে যাত্রী এবং মোটরসাইকেল চাপ রয়েছে ফেরি গুলোতে। বেশ কয়েকটি ফেরি ছাড়তে হয়েছে শুধু যাত্রী ও মোটরসাইকেল নিয়ে। মো. সুজন হালাদার মীরপুর থেকে তার এক কন্যা এবং স্ত্রীকে নিয়ে মোটর সাইকেলে জীবনের ঝুকি নিয়ে ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে। এমন অনেকেই মোটর সাকেলে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের মেরিন কর্মকর্তা জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যেতে ফেরি গুলোর দ্বীগুন সময় লাগছে। প্রতিটি ফেরিকে স্রোতের বিপরীতে ও নদীতে ৩-৪কিলোমিটার অধিক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে।