শিবচর উৎরাইল উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন 

প্রকাশ : 2022-10-08 20:14:53১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

শিবচর উৎরাইল উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন 

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় উৎরাইল উচ্চবিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ, দুর্নীতি, অনিয়ম, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একাংশ।  

শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল দশটার দিকে উপজেলার উৎরাইল নয়াবাজারে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়ে চারটি পদে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্থের বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম বিদ্যালয়ের আয়া, পরিচ্ছন্নতা-কর্মী, অফিস সহায়ক এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদেও চারজনকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন, অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগের ব্যবস্থা করা এবং প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. জালাল ফকির বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে সম্প্রতি এই নিয়োগের সময় তার দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কখনোই ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেননি। শুধু সভাপতিকে নিয়েই কাজ করেছেন। এছাড়া মিটিং, রেজুলেশন ছাড়াই নিয়োগপত্র দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

অভিভাবক সদস্য আলী আজগর মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক এক প্রার্থীর কাছে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। কিন্তু দরিদ্র ওই প্রার্থী টাকা দিতে পারেননি। তাই তার চাকরি হয়নি। প্রধান শিক্ষক ৪টি পদে নিয়োগের জন্য ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছভাবে হয়েছে। আমরা এই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানাই।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, স্থানীয়দের অনেকে চেয়েছিলেন আমি তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ দেই৷ কিন্তু আমি বলেছি, যিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তিনিই চাকরি পাবেন। তাই কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন।

মানববন্ধনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।