শিবচরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে
প্রকাশ : 2021-05-29 16:33:35১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মাদারীপুরের শিবচরে ৯ম শ্রেনিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে শিবচর উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার বিচার চাওয়ায় অভিযুক্তর হাতে উল্টো মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পিতা। বিষয়টি মানবধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলছে মানবধিকারকর্মীরা।
স্বজন ও নির্যাতিতা জানায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারনায় নামে মোস্তাফিজুর রহমান নাসির। সেই সুবাদে দেড় মাস আগে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গেলে নাসিরের সাথে শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে নাসির মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। গত ২১ মে সকালে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নাসিরের এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ নির্যাতিতা ও তার পরিবারের। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এলাকার মাদবরদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন বিচার পায়নি নির্যাতিতার পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগি পরিবারকে দারস্ত হতে হয় আদালতে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অভিযুক্ত নাসির।পরে সমাধানের কথা বলে নির্যাতিতার বাবাকে শনিবার (২৯ মে) সকালে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে এনে মারধর করে সে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে বলে, নাসিরের কঠিন বিচার চাই। ওর বিচার না হলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না।
মেয়েটির বাবা জানান, নাসির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও মাদারীপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। সেজন্য এলাকায় তার খুব প্রভাব। মাদবরদের কাছে বিচার চেয়েও কোন বিচার পাইনি। উল্টো নাসিরের হাত মার খেতে হয়েছে।
মানবধিকারকর্মী সুবল বিশ্বাস বলেন, একটি বিষয় দুটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এর কঠিন বিচার হওয়া দরকার।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় মেয়েটির পরিবার এখনো থানায় আসেনি। ইতিমধ্যে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযুক্ত নাসিরকে আটকের কথা মোবাইলে জানিয়েছেন। নাসিরকে থানায় নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা হবে।